ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যার কারনে পুলিশের ওপর ক্ষোভ ও নানা কারণে থানায় হামলার পর চলে যান পুলিশ সদস্যরা। একই সময় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় ‘পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন’। পরে পুলিশ সদস্যদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-স্ব পুলিশ লাইন্স বা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেন বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা। যে সকল পুলিশ সদস্য কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তাদেরকে আসার পথে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সহযোগিতা করছেন।
"সাধারণ জনতারা এ বিষয়ে জানিয়েছে, পুলিশ থাকার কথা ছিল জনগণের বন্ধু রুপে। সবার নিরাপত্তা দিবে তারা। অথচ মানুষ সব থেকে বেশি হয়রানির শিকার হয় পুলিশের কাছে। চাঁদাবাজি, অন্যায়ভাবে আটক, মাদকচালান সহ এবারে তারা এতটাই স্পর্ধা ছিল যে দৃশ্য গুলো আমরা সিনেমাতে দেখি তা এবার এরা ঘিটিয়েছে বাস্তবে। হাজা হাজার শিক্ষার্থী, শিশু হত্যার মধ্য দিয়ে। তবে আমরা দিলাম তাদের সাধারণ ক্ষমা করে। কিন্তু যেন তারা সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় ফিরে আসে।"
এক বার্তায় পুলিশ কতৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের নেতারা, ছাত্র-ছাত্রী এবং আপামর জনসাধারণ যাতে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদে কর্মস্থলে আসতে পারেন সেজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।
বার্তায় একই সঙ্গে জানানো হয়, পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে আসার পথে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন মর্মে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে সেগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়নি। সুতরাং গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করা হলো।