সাভারের তেতুঁলঝোরা ঝাউচর বাজার এলাকায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, ব্যবসা দখলে নিতে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইসমাইল হোসেন সিরাজী (৪২), মোশারফ হোসেন মোশার বাহিনীর শরীফ (৩৫) ও ওসমান গণির (৪৭) নেতৃত্বে প্রায় ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল এই হামলা চালায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, হামলাকারীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য দখল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
হামলায় আহত হয়েছেন ফার্মেসি মালিক আশরাফুল ইসলাম মনির (৪৮), আলমগীর হোসেন (৪৪) ও রিফাত (২৫)।
[caption id="attachment_383" align="aligncenter" width="1280"] হামলায় আহত ব্যক্তি[/caption]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাদের হাতে ছিল চাইনিজ কুড়াল, রামদা এবং লোহার রড, যা দিয়ে তারা নির্বিচারে আক্রমণ চালায়। প্রথমে মনিরকে মাথায় কুপিয়ে জখম করে, এরপর আলমগীর ও রিফাত এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায় হামলাকারীরা।
এলাকার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আশরাফুল ইসলাম মনিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে। বর্তমানে তারা বিএনপির পরিচয়ে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিরোধ করতে না পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, হামলাকারীরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ স্থানীয় নেতাদের ছবিও ভাঙচুর করে। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্ররোচনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার ও দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সাভার থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া জানান, 'অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'