|| বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে যাত্রার উপযোগী হলে আগামী ৭ ডিসেম্বর (রোববার) লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি একদিন পিছিয়ে যায়। মির্জা ফখরুল বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।” তিনি আরও জানান, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে অ্যাম্বুলেন্সটি শনিবার ঢাকায় পৌঁছাতে পারে। এদিকে শুক্রবার সকালে লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তিনি সরাসরি বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেন তিনি। পরে বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করে ধানমন্ডির পৈতৃক বাসভবনে ফেরত যান। জুবাইদা রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পারিবারিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে তিনি ঢাকায় এসেছেন। ১৩ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। ফুসফুসে সংক্রমণ ও হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা কিছুটা কমলেও অন্যান্য সমস্যা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এইচডিইউ থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি সূত্র জানায়, চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স বিমান পৌঁছানো এবং চিকিৎসকদের চূড়ান্ত মতামতের ওপর ভিত্তি করেই তাঁর যাত্রা নির্ভর করছে।