প্রিন্ট এর তারিখ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||
প্রকাশের তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
হাদি হত্যা: শাহবাগে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক ||
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।তিনি বলেন,“বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব। এই অবরোধ চলছে, চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীদের সবাইকে গ্রেপ্তার না করা হবে, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের আর ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।”শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা শাহবাগে সমবেত হয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। রাতেও তারা সেখানে অবস্থান করছেন। অবরোধের ফলে শাহবাগ এলাকায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কগুলোতে সীমিত আকারে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।সন্ধ্যায় বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন,“আজ শাহবাগ অবরোধ করেছি, আগামীকালও (শনিবার) শাহবাগ অবরোধ চলবে। সারা দেশ থেকে জনতা আসছে।”ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান,“আমরা সারারাত অবস্থান করব। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে।”সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা জানান, শনিবারও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।অবরোধ কর্মসূচিতে নিহত ওসমান হাদির ভাই শরীফ ওমর বিন হাদি বলেন,“সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, বিচার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ওসমান হাদির বিচারের দাবি এখন দেশের আঠারো কোটি মানুষের দাবি।”তিনি আরও বলেন,“আমরা রাজপথে নেমেছি, বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। রাষ্ট্রের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই বলে দিতে চাই—আমাদের ক্যান্টনমেন্ট বা যমুনা ঘেরাও করতে বাধ্য করবেন না।”উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাংকির সামনে আততায়ীর গুলিতে আহত হন ওসমান হাদি। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।এ ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা ‘শহীদী শপথ’ নেন। শপথে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ওসমান হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন এবং ‘ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়।
কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গণবার্তা