০১:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বসেরা

  • নিউজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ০ Time View

ধর্ষণের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বসেরা। আর ভারত হচ্ছে চতুর্থতম। চলতি বছর ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষ থাকা ১০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড টপ মোস্ট পরিসংখ্যান সংস্থা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে আমেরিকার নাম রয়েছে এক নম্বরে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে প্রতি ২ মিনিটে ধর্ষণের শিকার হন একজন নারী। এই চিত্র নারীদের জন্য শুধুমাত্র আতঙ্কজনকই নয় ভয়াবহও। ধর্ষণের মতো এমন অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। আর প্রতি ২২ মিনিটে একজন নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন ভারতে।

ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষে থাকা বাকি ৫টি দেশ হলো- জার্মানি- ৬, ফ্রান্স ৭, কানাডা- ৮, শ্রীলংকা- ৯। আর ইথিওপিয়া রয়েছে ১০ নম্বর অবস্থানে।

বীপরীত চিত্র দেখা যায় মুসলিম ভূখন্ডগুলোতে। ধর্ষণের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটিও মুসলিম প্রধান দেশ নেই। যেসব মুসলিমদের ভূখন্ডে ইসলামী শরীয়াহ নেই, সেক্যুলারিজম চলছে সেগুলোও পুরোপুরি পশ্চিমা সেক্যুলার দেশ হতে কম ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।

আর যেসকল ভূখন্ডে শরীয়াহ শাসন উপস্থিত, সেসব দেশে বছরে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে হাতে গোনা কিছু। এসব ভূখন্ডে ধর্ষনের হার অত্যন্ত কম। যেমন সৌদীআরবে, আফগানে, সুমালিয়া, মালির শরীয়াহর অধীনে ভূখন্ড গুলোতে খেয়াল করলে দেখা যায় হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। কম্পেয়ারেবল না সেক্যুলার দেশগুলোর সাথে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী এসব দেশ পরিচালিত হওয়ায় ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনা এতো কম। শরীয়াহ ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা এবং ইসলামী মূল্যবোধ ব্যপকহারে প্রচারিত হওয়ায় এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। মুসলিম প্রধান সেক্যুলার গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে শরীয়াহ শাসন আসলে ধর্ষনের ঘটনা আরও কমে যাবে, এমনটা মনে করছেন তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধর্ষণের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বসেরা

Update Time : ০৬:০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

ধর্ষণের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বসেরা। আর ভারত হচ্ছে চতুর্থতম। চলতি বছর ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষ থাকা ১০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড টপ মোস্ট পরিসংখ্যান সংস্থা।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে ধর্ষণে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে আমেরিকার নাম রয়েছে এক নম্বরে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে প্রতি ২ মিনিটে ধর্ষণের শিকার হন একজন নারী। এই চিত্র নারীদের জন্য শুধুমাত্র আতঙ্কজনকই নয় ভয়াবহও। ধর্ষণের মতো এমন অপরাধের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। আর প্রতি ২২ মিনিটে একজন নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন ভারতে।

ধর্ষণ অপরাধের শীর্ষে থাকা বাকি ৫টি দেশ হলো- জার্মানি- ৬, ফ্রান্স ৭, কানাডা- ৮, শ্রীলংকা- ৯। আর ইথিওপিয়া রয়েছে ১০ নম্বর অবস্থানে।

বীপরীত চিত্র দেখা যায় মুসলিম ভূখন্ডগুলোতে। ধর্ষণের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটিও মুসলিম প্রধান দেশ নেই। যেসব মুসলিমদের ভূখন্ডে ইসলামী শরীয়াহ নেই, সেক্যুলারিজম চলছে সেগুলোও পুরোপুরি পশ্চিমা সেক্যুলার দেশ হতে কম ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।

আর যেসকল ভূখন্ডে শরীয়াহ শাসন উপস্থিত, সেসব দেশে বছরে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে হাতে গোনা কিছু। এসব ভূখন্ডে ধর্ষনের হার অত্যন্ত কম। যেমন সৌদীআরবে, আফগানে, সুমালিয়া, মালির শরীয়াহর অধীনে ভূখন্ড গুলোতে খেয়াল করলে দেখা যায় হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। কম্পেয়ারেবল না সেক্যুলার দেশগুলোর সাথে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী এসব দেশ পরিচালিত হওয়ায় ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনা এতো কম। শরীয়াহ ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা এবং ইসলামী মূল্যবোধ ব্যপকহারে প্রচারিত হওয়ায় এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। মুসলিম প্রধান সেক্যুলার গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে শরীয়াহ শাসন আসলে ধর্ষনের ঘটনা আরও কমে যাবে, এমনটা মনে করছেন তারা।