ঢাকা    মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
গণবার্তা
সর্বশেষ

জামায়াতের জোটে যোগ দিল এনসিপি ও এলডিপি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোটে যোগ দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার বিকেলে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের আমির বলেন, “এর আগে আটটি দল আমাদের সঙ্গে ছিল। আজ আরও দুটি দল—এনসিপি এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি—এই জোটে যোগ দিয়েছে।”তিনি জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন আসনে আসনভিত্তিক সমঝোতা হয়েছে। আরও কিছু রাজনৈতিক দল জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও এই মুহূর্তে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতের সঙ্গে আগে থেকেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)—এই ছয়টি দল আসন সমঝোতার ভিত্তিতে সব আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে এতে যোগ দেয় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।জামায়াতসহ এই আটটি দল বিভিন্ন দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। সর্বশেষ এনসিপি ও এলডিপি যুক্ত হওয়ায় জোটটির পরিসর আরও বিস্তৃত হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামীকাল ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল শপথ গ্রহণ করবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম আজ বাসসকে জানান, আগামীকাল সকাল ১০টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।এর আগে, গত ২৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি তাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৮৫ সালে জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।তিনি ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তাকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উন্নীত করা হয়।শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি লাভ করেন।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

হাদি হত্যা: শাহবাগে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।তিনি বলেন,“বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব। এই অবরোধ চলছে, চলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীদের সবাইকে গ্রেপ্তার না করা হবে, ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের আর ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।”শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা শাহবাগে সমবেত হয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। রাতেও তারা সেখানে অবস্থান করছেন। অবরোধের ফলে শাহবাগ এলাকায় যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের সড়কগুলোতে সীমিত আকারে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।সন্ধ্যায় বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন,“আজ শাহবাগ অবরোধ করেছি, আগামীকালও (শনিবার) শাহবাগ অবরোধ চলবে। সারা দেশ থেকে জনতা আসছে।”ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান,“আমরা সারারাত অবস্থান করব। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসতে পারে।”সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক নেতা জানান, শনিবারও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।অবরোধ কর্মসূচিতে নিহত ওসমান হাদির ভাই শরীফ ওমর বিন হাদি বলেন,“সরকারের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, বিচার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ওসমান হাদির বিচারের দাবি এখন দেশের আঠারো কোটি মানুষের দাবি।”তিনি আরও বলেন,“আমরা রাজপথে নেমেছি, বিচার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। রাষ্ট্রের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই বলে দিতে চাই—আমাদের ক্যান্টনমেন্ট বা যমুনা ঘেরাও করতে বাধ্য করবেন না।”উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাংকির সামনে আততায়ীর গুলিতে আহত হন ওসমান হাদি। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।এ ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা ‘শহীদী শপথ’ নেন। শপথে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ওসমান হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন এবং ‘ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
হাদি হত্যার বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।সোমবার দুপুর ২টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধ শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একে একে কর্মসূচিতে যোগ দেন। এতে শাহবাগ চত্বর জুড়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘শাহবাগ না ইনসাফ, ইনসাফ ইনসাফ’, ‘এই দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ এবং ‘বিচার বিচার চাই, হাদি হত্যার বিচার চাই’—এমন নানা স্লোগানে শাহবাগ মুখরিত করে তোলেন।আন্দোলনকারীরা বলেন, হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।এর আগে টানা তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষে রোববার রাত ১০টার দিকে কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। সে সময় তিনি চার দফা দাবি তুলে ধরে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানান।চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—খুনি ও খুনের সঙ্গে জড়িত পুরো চক্রের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা, বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয় নাগরিকের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল, ভারত আশ্রয় দেওয়া খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা এবং সিভিল-মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সে থাকা ফ্যাসিস্ট দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, এই চারটি দাবি তাদের আন্দোলনের মূল ভিত্তি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ের মধ্যেই এসব দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।এদিকে, রোববার ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও রাত ৮টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
১১ ঘন্টা আগে
হাদি হত্যার বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।সোমবার দুপুর ২টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধ শুরুর পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একে একে কর্মসূচিতে যোগ দেন। এতে শাহবাগ চত্বর জুড়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘শাহবাগ না ইনসাফ, ইনসাফ ইনসাফ’, ‘এই দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ এবং ‘বিচার বিচার চাই, হাদি হত্যার বিচার চাই’—এমন নানা স্লোগানে শাহবাগ মুখরিত করে তোলেন।আন্দোলনকারীরা বলেন, হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।এর আগে টানা তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শেষে রোববার রাত ১০টার দিকে কর্মসূচি সাময়িক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। সে সময় তিনি চার দফা দাবি তুলে ধরে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানান।চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—খুনি ও খুনের সঙ্গে জড়িত পুরো চক্রের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা, বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয় নাগরিকের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল, ভারত আশ্রয় দেওয়া খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা এবং সিভিল-মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সে থাকা ফ্যাসিস্ট দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, এই চারটি দাবি তাদের আন্দোলনের মূল ভিত্তি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ের মধ্যেই এসব দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।এদিকে, রোববার ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও রাত ৮টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
১১ ঘন্টা আগে
কাশ্মীরে জৈশ ও হিজবুল কমান্ডারদের ধরতে বিশাল সামরিক অভিযান

কাশ্মীরে জৈশ ও হিজবুল কমান্ডারদের ধরতে বিশাল সামরিক অভিযান

শ্রীনগর: ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মুহাম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ কমান্ডারদের ধরতে বড় পরিসরে অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২ হাজার সেনা সদস্য এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন।তুষারে ঢাকা উপত্যকা ও পাহাড়ি পথ দিয়ে যাতে কোনো জঙ্গি অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে লক্ষ্যেই একের পর এক এলাকায় চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। সেনা সূত্র জানায়, মূলত জৈশ-ই-মুহাম্মদের সক্রিয় জঙ্গিদের পাশাপাশি সংগঠনটির স্থানীয় কমান্ডারদের গ্রেপ্তার করাই এই অভিযানের প্রধান লক্ষ্য।সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জৈশ-ই-মুহাম্মদের স্থানীয় কমান্ডার সাইফুল্লাহ ও তার সহযোগী আদিল বর্তমানে কিশতওয়ার জেলার ডোডা অঞ্চলের পাহাড়ে আত্মগোপনে রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য মিলেছে। এই দুই জঙ্গির মাথার দাম ৫ লাখ রুপি করে ঘোষণা করা হয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে কিশতওয়ারের ছাত্রু গ্রাম থেকে অভিযান শুরু হয়। পাশাপাশি ডোডা অঞ্চলের সেওজধারে এলাকায় টানা তল্লাশি চলছে। শনিবার থেকে কিশতওয়ার জেলার বিভিন্ন অংশেও সেনা অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।এদিকে, আলাদা আরেক অভিযানে কিশতওয়ারের পাদ্দের সাবডিভিশনে হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার জাহিঙ্গির সারুরিকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তার সঙ্গে থাকা সহযোগী মুদ্দাসির ও রিয়াজকেও খুঁজছে নিরাপত্তা বাহিনী।সেনা ও নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আসন্ন সময়ের সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা ঠেকাতেই এই ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে এলাকা জুড়ে চরম সতর্কতা জারি রয়েছে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
আপনি কি মনে করেন, সঠিক সময়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে?

আপনি কি মনে করেন, সঠিক সময়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে?

  হ্যাঁ
  না
  মন্তব্য নেই
মোট ভোটদাতাঃ জন
শীত পড়তেই অসুস্থ হচ্ছেন বাড়ির বয়স্কেরা? দুর্বল হার্ট, শ্বাসকষ্ট থাকলে কী কী খাওয়াবেন

শীত পড়তেই অসুস্থ হচ্ছেন বাড়ির বয়স্কেরা? দুর্বল হার্ট, শ্বাসকষ্ট থাকলে কী কী খাওয়াবেন

শীত এলেই বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের অসুস্থতা যেন বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমে যায়। বাংলাদেশে শীতকালে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণে প্রবীণদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস ও সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়ে যায়—এমন তথ্য চিকিৎসকরাও নিয়মিত উল্লেখ করে থাকেন।বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৬০ পেরোলেই শরীরের ইমিউন সিস্টেম ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। এই অবস্থায় শীতকালীন সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, হাঁপানি অ্যাটাক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি থাকে। তাই শুধু ওষুধের ওপর নির্ভর না করে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।শীতকালে বয়স্করা কেন বেশি অসুস্থ হনবাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী— ঠান্ডায় রক্তনালি সংকুচিত হয়, ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায় শীতকালে পানি কম খাওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় ঠান্ডা বাতাসে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় শরীর কম নড়াচড়া করায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয় বিশেষ করে যাঁদের আগে থেকেই হার্ট দুর্বল, হাঁপানি বা ডায়াবিটিস আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি দ্বিগুণ।‘ইটিং ডিজঅর্ডার’ বেশি হয় বয়স্কদেরইচিকিৎসকদের ভাষায়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবীণদের মধ্যে Eating Disorder বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশে এটি বেশ সাধারণ একটি চিত্র— অনেক প্রবীণ নারী সংসারের কাজ সামলাতে গিয়ে নিজের খাবার বাদ দেন ওষুধ খাওয়ার সময় খাবার না খেয়ে ফেলেন আবার কেউ কেউ লুকিয়ে মিষ্টি, পিঠা, ভাজাপোড়া খেয়ে ফেলেন এর ফলেই দেখা দেয়— কোষ্ঠকাঠিন্য ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) গাঁটের ব্যথা হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়া বারবার সংক্রমণ শীতকালে বয়স্কদের জন্য উপযোগী খাবার (বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে)১. হার্ট দুর্বল হলে গরম দুধ (চিনি ছাড়া) ওটস বা লাল চালের ভাত (পরিমিত) সামুদ্রিক মাছ (রুই, কাতলা, ইলিশ নয়—চর্বি বেশি) বাদাম (ভেজানো চিনাবাদাম বা কাজু অল্প) ২. শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি থাকলে আদা ও তুলসী দিয়ে হালকা গরম পানি মধু (১ চা চামচ) সবজি স্যুপ (লাউ, কুমড়া, গাজর) হলুদ মেশানো গরম দুধ (রাতে) চিকিৎসকেরা বলেন, ঠান্ডা দই, সফট ড্রিংক ও বরফ দেওয়া খাবার হাঁপানির রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। ৩. ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে লাল আটা বা আটার রুটি শাকসবজি (পালং, লাল শাক, ডাটা শাক) পেঁপে, পেয়ারা, আপেল (পরিমিত) পর্যাপ্ত পানি (গরম বা কুসুম গরম) যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত অতিরিক্ত মিষ্টি ও পিঠা ভাজাপোড়া (শিঙাড়া, কচুরি) অতিরিক্ত লবণ ঠান্ডা পানীয় শীতকালে বয়স্কদের জন্য বাড়তি যত্ন নিয়মিত গরম কাপড় ব্যবহার সকালে হালকা রোদ পোহানো দিনে অন্তত ২০–৩০ মিনিট হাঁটা নির্দিষ্ট সময়ে খাবার ও ওষুধ খাওয়া উপসংহারশীতকালে বয়স্কদের সুস্থ রাখা শুধু ওষুধের বিষয় নয়—সঠিক খাবার, নিয়মিত রুটিন ও পরিবারের যত্নই সবচেয়ে বড় চিকিৎসা। সময়মতো খাওয়াদাওয়া ও সচেতন জীবনযাপন করলে হার্ট, শ্বাসকষ্ট বা ডায়াবিটিস থাকলেও ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাদ্য বা ওষুধে বড় পরিবর্তন না করাই উত্তম।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশন ২০২৫

৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশন ২০২৫

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশন ২০২৫’।দিনব্যাপী এই আয়োজন শুরু হবে সকাল ১০টায়, রাজধানীর শেরাটন ঢাকা, বনানীতে।সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশনে বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশ থেকে প্রবাসী উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইটি প্রফেশনালসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।একই সঙ্গে আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার, কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার, ইউকে-বিসিসিআই, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (দুবাই), সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ চেম্বার, জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার, কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার এবং অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার থেকে বড় ডেলিগেশন সম্মেলনে যোগ দেবেন।এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপ ও চেম্বারের প্রতিনিধিরা কনভেনশনে অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে দেশীয় উদ্যোক্তা ও প্রফেশনালদের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের কার্যকর নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকরাও এই আয়োজনে অংশ নেবেন।প্রবাসী বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম এনআরবি ওয়ার্ল্ড এই কনভেনশনের আয়োজক। সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে এনআরবি ফ্যামিলি সাপোর্ট ও বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন।দিনব্যাপী এই কনভেনশনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নয়ন, অর্থনীতি ও আইটিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতভিত্তিক একাধিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেমিনারে দেশ ও প্রবাসের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা কি-নোট স্পিকার ও আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন।পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মান জানাতে প্রদান করা হবে ‘এনআরবি অ্যাওয়ার্ড’।এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক এনাম জানান, এবারের এনআরবি গ্লোবাল কনভেনশনের মূল লক্ষ্য হলো দেশ ও প্রবাসের মধ্যে একটি কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরি করা।তিনি বলেন, “আমরা দ্বিমুখী সম্পর্কের ভিত্তিতে এই সংযোগ গড়ে তুলতে চাই। প্রবাসে থাকা বড় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষ প্রবাসী পেশাজীবীদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা যেন দেশীয় উদ্যোক্তারা কাজে লাগাতে পারেন—সেই চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে।”
২৫ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার ডাউন: ডিজিটাল লেনদেন বন্ধ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার ডাউন: ডিজিটাল লেনদেন বন্ধ

২৫ নভেম্বর ২০২৫
বিয়ের সম্পর্ক সুন্দর রাখার ১০টি বাস্তব ও পরীক্ষিত টিপস

বিয়ের সম্পর্ক সুন্দর রাখার ১০টি বাস্তব ও পরীক্ষিত টিপস

বিয়ে শুধু এক ছাদের নিচে থাকা নয়—এটি দুটি মানুষের অনুভূতি, দায়িত্ব, সম্মান এবং একসাথে বেড়ে ওঠার যাত্রা। সম্পর্ক যত্ন করলে যেমন সুন্দর থাকে, তেমনি অবহেলা করলে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়। তাই বিয়ের সম্পর্ককে শক্ত, মধুর ও দীর্ঘস্থায়ী করতে কিছু ছোট–ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসই অনেক ভূমিকা রাখে।নিচে বিয়ের সম্পর্ক সুন্দর রাখার সেরা ১০টি টিপস দেওয়া হলো—১. প্রতিদিন সামান্য সময় হলেও দু’জনের কথা বলুনব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন অন্তত ১০–১৫ মিনিট দু’জনের নিজের কথা, কাজ, অনুভূতি নিয়ে কথা বলুন। এতে আবেগের সংযোগ তৈরি হয়।২. ভালোবাসা প্রকাশ করুন—বলুন, দেখান, অনুভব করানমনে মনে ভালোবাসা থাকলেই হবে না। একটি “ধন্যবাদ”, “তোমাকে ভালোবাসি” বা ছোট সারপ্রাইজ সম্পর্ককে উষ্ণ রাখে।৩. সমস্যা হলে চিৎকার নয়—শান্তভাবে কথা বলুনবিতর্ক হতেই পারে, কিন্তু অপমান, রাগ, গালমন্দ সম্পর্ক নষ্ট করে। সমস্যাকে “আমরা বনাম সমস্যা” ভাবুন, “আমি বনাম তুমি” নয়।৪. একে অপরকে সম্মান দিনবিয়েতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় সম্মান। সঙ্গীর মতামত, পছন্দ, পরিবার—সবকিছুকেই শ্রদ্ধা দিন।৫. একসাথে সময় কাটানসপ্তাহে একদিন হলেও হাঁটা, চা-কফি, সিনেমা বা ছোট কোনো ঘোরাঘুরি পরিকল্পনা করুন। একসাথে কাটানো সময় সম্পর্ককে নতুন শক্তি দেয়।৬. প্রশংসা করুন—ছোট কাজ হলেওতিনি খাবার বানালে, কোনো কাজ করলে, কিংবা শুধু হাসিখুশি থাকলে প্রশংসা করুন। প্রশংসা সম্পর্ককে সুন্দর করে, মন খুলে দেয়।৭. ব্যক্তিগত জায়গার সম্মান করুনস্বামী–স্ত্রী হলেও প্রত্যেকের নিজস্ব জায়গা ও সময় দরকার। অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ বা সন্দেহ দূরত্ব তৈরি করে।৮. ভুল হলে ক্ষমা চাইতে শিখুন“আমি ভুল করেছি” বলতে পারা সম্পর্ককে অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচায়। ক্ষমা চাওয়া দুর্বলতার নয়, পরিপক্বতার লক্ষণ।৯. পারিবারিক দায়িত্ব ভাগ করে নিনআর্থিক, ঘরের কাজ, শিশু—যা কিছু হোক, দায়িত্ব একা একজনের নয়। দু’জন মিলে করলে সম্পর্ক শক্ত হয়।১০. দোয়া ও আধ্যাত্মিক বন্ধন রাখুন বিশ্বাস, আল্লাহর ওপর নির্ভরতা (তাওয়াক্কুল) এবং একসাথে দোয়া করাও সম্পর্ককে শান্তি দেয়। যাদের জীবনে আধ্যাত্মিকতা থাকে, তাদের সম্পর্ক বেশি স্থায়ী হয়।
১২ ঘন্টা আগে
কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ট্রেন চলাচলে ১৪ নির্দেশনা জারি করল রেলওয়ে

কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ট্রেন চলাচলে ১৪ নির্দেশনা জারি করল রেলওয়ে

আসন্ন শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার ফলে ট্রেন পরিচালনায় ঝুঁকি বাড়তে পারে জানিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৪টি বিশেষ সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করেছে। ঘন কুয়াশায় সিগন্যাল, লেভেল ক্রসিং বা রেললাইনের প্রতিবন্ধকতা দৃশ্যমান না হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বিবেচনায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সম্প্রতি রেলওয়ের ডেপুটি চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পশ্চিম) মোছা. আরফিন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্দেশনাগুলো পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারদের কাছে পাঠানো হয়।চিঠিতে বলা হয়, শীতকালে বিশেষ করে রাতে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে ট্রেন পরিচালনা–সংশ্লিষ্ট কর্মীরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবেন। জিআর-৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ এবং এসআর-২৯, ৩১, ৩২, ৩৫–এর বিধি কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়।কুয়াশায় ট্রেন চলাচলে রেলের ১৪ নির্দেশনা১. সেকশনভিত্তিক কুয়াশার পরিস্থিতি জেনে টিএনএলের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনে লোকোমাস্টারকে কশন অর্ডার (ওপিটি-৮০) পাঠানো। ২. স্টেশন মাস্টাররা লেভেল ক্রসিং চিহ্নিত করে কুয়াশাচ্ছন্ন এলাকায় কশন অর্ডার ইস্যু করবেন। ৩. নিজ স্টেশনে কুয়াশা থাকলে পাশের স্টেশন ও কন্ট্রোল অফিসকে তাৎক্ষণিক জানাতে হবে। ৪. ঘন কুয়াশায় বিধি অনুযায়ী ফগ সিগন্যাল ব্যবহার এবং লেভেল ক্রসিং বন্ধ আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে ট্রেন পার করানো। ৫. লোকোমাস্টার ও গার্ডরা কুয়াশাচ্ছন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় ট্রেন চালাবেন। ৬. রাতে ট্রেন ছাড়ার আগে এলএম ও গার্ডের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে চার্টে লিপিবদ্ধ করতে হবে। ৭. স্টেশন মাস্টার ব্যতীত অন্য কেউ যেন লাইন ক্লিয়ার না দেন—টিএনএলদের এ বিষয়টি যাচাইয়ের নির্দেশ। ৮. পার্শ্ববর্তী স্টেশন মাস্টার ছাড়া কারও সাথে লাইন ক্লিয়ার আদান–প্রদান করা যাবে না। ৯. টেইল ল্যাম্প/বোর্ড ঠিকমতো যুক্ত না থাকলে বা গার্ডের প্রত্যয়ন ছাড়া ট্রেন ইনরিপোর্ট দেওয়া যাবে না। ১০. নন-ইন্টারলকড স্টেশনে দুটি ট্রেনের ক্রসিংয়ে সঠিক পয়েন্ট সেটিং নিশ্চিত করতে হবে। ১১. বিরতিহীন স্টেশনে ক্রসিংয়ের সময় উভয় ট্রেনকে আউটার সিগন্যালে থামিয়ে গুরুত্ব অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া। ১২. শীত মৌসুমে রাতের নৈশ সংকেত পরিদর্শন ঘন ঘন করতে হবে। ১৩. দীর্ঘমেয়াদি কুয়াশার সময়ে জরুরি সেল খোলা ও ঢাকা কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ বাধ্যতামূলক। ১৪. স্টেশনে পর্যাপ্ত ফগ সিগন্যালের মজুত রাখতে হবে এবং ব্যবহারের নিয়ম কঠোরভাবে মানতে হবে।দুর্ঘটনা প্রতিরোধই মূল লক্ষ্য রেলওয়ে বলছে, কুয়াশায় সিগন্যালের আলো ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা লেভেল ক্রসিং দেখা না যাওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। তাই সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে সমস্ত কর্মকর্তা–কর্মচারীকে নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
২৫ নভেম্বর ২০২৫
অ্যামাজন–আলিবাবায় সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা

অ্যামাজন–আলিবাবায় সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বৈশ্বিক ই–কমার্স বাজারে বড় সুযোগ উন্মুক্ত হলো। অনলাইনভিত্তিক রপ্তানি বাড়াতে বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার (বি২বি২সি) মডেলের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে উদ্যোক্তারা এখন অ্যামাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্টসহ আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ই–কমার্স প্ল্যাটফর্মে সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।কী বলা হয়েছে নতুন প্রজ্ঞাপনে?নতুন নিয়ম অনুযায়ী— দেশের যেকোনো রপ্তানিকারক এখন সুপরিচিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস, সাবসিডিয়ারি বা তৃতীয় পক্ষের ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে পণ্য পাঠাতে পারবেন। বিদেশি কনসাইনি চূড়ান্ত ক্রেতা না হয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করতে পারবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা আন্তর্জাতিক ওয়্যারহাউসে রেজিস্ট্রেশনের প্রমাণপত্র এডি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। বি২বি২সি মডেলে স্বাভাবিক বিক্রয়চুক্তি না থাকায় প্রফর্মা ইনভয়েসের ভিত্তিতে ন্যায্যমূল্য ঘোষণা করা যাবে। ওয়্যারহাউজিং বা অন্যান্য সেবা প্রদানকারী কনসাইনির নামে শিপিং ডকুমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে এডি ব্যাংক। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে নতুন সুবিধাবাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে— রপ্তানি আয় স্বাভাবিক ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর (যেমন PayPal, Payoneer ইত্যাদি) মাধ্যমে পাওয়া যাবে। অনলাইনভিত্তিক রপ্তানিতে একাধিক চালানের অর্থ একত্রে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে এডি ব্যাংক ফার্স্ট-ইন, ফার্স্ট-আউট (FIFO) নীতিতে রপ্তানি আয় সমন্বয় করবে। কীভাবে উপকৃত হবেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা?নতুন প্রজ্ঞাপনের ফলে— আন্তর্জাতিক বাজারে সরাসরি বিক্রির সুযোগ তৈরি হলো। ব্র্যান্ডিং, মূল্য নির্ধারণ, প্রোডাক্ট ক্যাটালগ—এসব উদ্যোক্তারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে রপ্তানির প্রয়োজন কমবে, লাভ বাড়বে। অ্যামাজন–আলিবাবা–ফ্লিপকার্টে নিজস্ব স্টোর খুলে রপ্তানির পথ সহজ হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামতখাত–সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তে— আন্তসীমান্ত ই–কমার্স আরও সহজ হবে, বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি বাড়বে, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণে বড় ভূমিকা রাখবে, আন্তর্জাতিক ডিজিটাল খুচরা বিক্রিতে বাংলাদেশি পণ্যের অংশগ্রহণ বাড়বে। তাদের মতে, সঠিক প্রস্তুতি, মানসম্মত পণ্য, আধুনিক লজিস্টিকস এবং সময়মতো ডেলিভারি নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশ দ্রুতই অনলাইন রপ্তানির বড় খেলোয়াড় হতে পারে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতিগত সমর্থন বাংলাদেশের উদ্যোক্তা, বিশেষ করে এসএমই খাতের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করেছে। সরাসরি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে।
অর্থনীতি প্রতিবেদক