
দেশব্যাপী অনলাইন জুয়ার বিস্তার ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইতোমধ্যে প্রায় ১,০০০ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং ১,১০০-এরও বেশি জুয়া সংশ্লিষ্ট এজেন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
২৫ মে, রবিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, সাইবার জুয়া দমনে সরকার ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪-এর ২০, ২১ ও ২২ ধারা অনুযায়ী অনলাইনে জুয়া খেলা, পরিচালনা, প্রচার বা উৎসাহ প্রদান—সবকিছুই এখন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
পোস্টে তিনি বলেন, “সাইবার স্পেসে জুয়া খেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অনলাইনে জুয়া পরিচালনাকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, কেউ যদি নিজের অজান্তে জুয়া সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞাপন বা ভিডিওতে যুক্ত হয়ে পড়েন, তবে তার উচিত আইনের আশ্রয় নেওয়া। একইসাথে পূর্বে যারা এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন, তাদের এখনই সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আইনের ৩০ ধারা অনুযায়ী, যারা অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়াও, আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “অনলাইন জুয়ার ফলে দেশের অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়েছেন, কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এটি এখন একটি সামাজিক ব্যাধি।”
সরকার নাগরিকদের অনুরোধ করেছে, অনলাইন জুয়া সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য থাকলে তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানাতে।
সূত্র: জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি