স্বৈরাচার সরকার এদেশ ছাড়লেও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে আতঙ্কিত করছে হিন্দু ভাইদের। এরা আজ হিন্দু ভাইদের বাড়িতে, মন্দিরে হামলা করে এদেশ থেকে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভারতে তো মুসলমানদের উপরে নির্যাতন, হত্যা, মসজিদে হামলা হয়। কই তারা তো দেশ ছাড়ে না। আর আপনারা কেন এদেশ ছাড়বেন? ষড়যন্ত্র নিপাত করে নিজের অধিকার আদায়ের সময়। হিন্দু ভাইয়েরা, আপনাদেরও জন্মভূমি এদেশ, আপনারাও এদেশের নাগরিক, তাই কেউ দেশ ছাড়বেন না বলে আহবান করেছেন মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক সাঈদ আহমেদ বাচ্চু।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে মাগুরার স্টেডিয়াম চত্ত্বরে আয়োজিত ২নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে দেশ প্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা, ইসলামের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হেফাজতে ইসলামদের হত্যা, জামায়াতের নেতাদের হত্যা সহ সাধারণ মানুষের গুম, খুন, চাঁদাবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে দেশকে জিম্মি করে রেখেছিল। সব শেষে কয়েকশত শিক্ষার্থী, শিশু জনতা হত্যার মাধ্যমে একমাত্র শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেই পতন হয়েছে এই স্বৈরাচার সরকারের।
এসময় জেলা আমির এমবি বাকের আহমেদ বলেন, মানুষ হত্যা, অন্যায় অবিচারের শাস্তি মহান আল্লাহ নিজ হাতে দেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ ছিল এই স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার। আমরা জামায়াতে ইসলামী করি শুধুমাত্র ইসলামের আলোকে দেশে সুশাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে যেখানে ধনী, গরিব, হিন্দু, মুসলিম সবাই তার নিজস্ব স্বাধীনতা ফিরে পাবে। আশকরি বর্তমামের এই আত্মত্যাগী ছাত্রদের যুদ্ধের ফসল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের সেই আগামী ১৬ বছরের হারানো স্বাধীনতা আবার ফিরিয়ে দিতে জনগণের পক্ষ্যে কাজ করবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, ‘এই আওয়ামী স্বৈরাচারের আমলে সবচেয়ে নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা। আমাদের কয়েকশত ভাই বোন হয়েছেন মিথ্যা মামলায় গুম খুন। তবে আজ থেকে আমরা সব ভূলে তাদের মহান আল্লাহর কাছে হেদায়েত চেয়ে ক্ষমা করে দিচ্ছি। বিচার চাই এই ২৪ এ স্বাধীনতা অর্জনের নেপথ্যে শহীদ ছাত্রদের উপর যারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নারকীয়ভাবে হত্যা করেছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর ২নং ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ও সাধারণ সদস্যগণ।
আলোচনা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছাত্রদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করেন তারা।