ঢাকা    বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গণবার্তা

ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোই প্রধান লক্ষ্য, সহিংসতা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা

উত্তর দিকের দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন সন্ত্রাসবাদী অভিযান শুরু

উত্তর দিকের দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন সন্ত্রাসবাদী অভিযান শুরু

দখলকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে আরও একটি বৃহত্তর সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর সামারিয়া এলাকায় তারা “বিস্তৃত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান” শুরু করেছে। পশ্চিম তীরের একটি অংশকে ইসরায়েল সামারিয়া হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।

এএফপিকে দেওয়া উত্তরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, এটি সম্পূর্ণ নতুন অভিযান—২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চালু হওয়া আগের অভিযানের ধারাবাহিকতা নয়। তাদের দাবি, নতুন অভিযানের লক্ষ্য হলো সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করা। ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোই এবারও প্রধান লক্ষ্য।

সহিংসতা থামেনি, বরং বাড়ছে

১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখলে রেখেছে ইসরায়েল। ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এ অঞ্চলে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গাজায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর নাজুক যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও পশ্চিম তীরে সহিংসতা কমেনি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী কিংবা বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় নিহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের হামলা বা সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ৪৪ জন ইসরায়েলি—যাদের মধ্যে রয়েছে সেনা সদস্য এবং সাধারণ নাগরিক দু’পক্ষই।

শিবিরগুলোতে তল্লাশি-অভিযান বাড়ছে

নতুন সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোতে অভিযান, তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও বিমান হামলার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে পশ্চিম তীরেও গাজার মতো দীর্ঘ সংঘর্ষ ও মানবিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে।

ফিলিস্তিনি পক্ষের নিন্দা

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই নতুন অভিযান আসলে দখল বাড়ানো ও অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করার কৌশল। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাত্ক্ষণিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।

আপনার মতামত লিখুন

গণবার্তা

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫


উত্তর দিকের দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের নতুন সন্ত্রাসবাদী অভিযান শুরু

প্রকাশের তারিখ : ২৬ নভেম্বর ২০২৫

featured Image
দখলকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে আরও একটি বৃহত্তর সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর সামারিয়া এলাকায় তারা “বিস্তৃত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান” শুরু করেছে। পশ্চিম তীরের একটি অংশকে ইসরায়েল সামারিয়া হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।এএফপিকে দেওয়া উত্তরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, এটি সম্পূর্ণ নতুন অভিযান—২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চালু হওয়া আগের অভিযানের ধারাবাহিকতা নয়। তাদের দাবি, নতুন অভিযানের লক্ষ্য হলো সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করা। ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোই এবারও প্রধান লক্ষ্য।সহিংসতা থামেনি, বরং বাড়ছে১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর দখলে রেখেছে ইসরায়েল। ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এ অঞ্চলে সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। গাজায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর নাজুক যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও পশ্চিম তীরে সহিংসতা কমেনি।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী কিংবা বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় নিহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের হামলা বা সামরিক অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ৪৪ জন ইসরায়েলি—যাদের মধ্যে রয়েছে সেনা সদস্য এবং সাধারণ নাগরিক দু’পক্ষই।শিবিরগুলোতে তল্লাশি-অভিযান বাড়ছেনতুন সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোতে অভিযান, তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও বিমান হামলার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে পশ্চিম তীরেও গাজার মতো দীর্ঘ সংঘর্ষ ও মানবিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে।ফিলিস্তিনি পক্ষের নিন্দা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, এই নতুন অভিযান আসলে দখল বাড়ানো ও অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করার কৌশল। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাত্ক্ষণিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।

গণবার্তা

সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ 
প্রকাশকঃ ফিরোজ আল-মামুন 

কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গণবার্তা