ঢাকা    বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গণবার্তা

২০১৪ সালের কংগ্রেসের পরাজয়ের পেছনে সিআইএ ও মোসাদের হস্তক্ষেপের দাবি সাবেক এমপির

২০১৪ সালের কংগ্রেসের পরাজয়ের পেছনে সিআইএ ও মোসাদের হস্তক্ষেপের দাবি সাবেক এমপির

ভারতের ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বড় পরাজয়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত ছিল—এমন দাবি করেছেন কংগ্রেসের নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য কুমার কেতকার।

তিনি গত বুধবার মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সদর দপ্তর তিলক ভবনে সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন পায়। প্রধান বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতাও হারায়। কেতকার বলেন, “কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কীভাবে ২০৬ থেকে হঠাৎ ৪৪-এ নেমে গেল, আমি বিশ্বাস করি না। জনমতের প্রতিফলন একা এমন পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। অবশ্যই অসন্তোষ ছিল, অভিযোগও ছিল। কিন্তু এত বড় ধাক্কা শুধু তা-ই নয়।”

কেতকার আরও বলেন, “কিছু সংস্থা বুঝতে পেরেছিল যে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় এলে তাদের সামরিক ও শিল্পনীতি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এসব সংস্থার মধ্যে অন্যতম ছিল সিআইএ এবং মোসাদ। তারা ভারতের প্রতিটি আসনের বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করেছিল।”

তিনি মোসাদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “মোসাদকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নির্বাচন-সহ প্রতিটি আসনের ওপর গভীর গবেষণা চালিয়েছে।”

কেতকারের মতে, কংগ্রেস ২০০৪ সালে ১৪৫ আসন থেকে ২০০৯ সালে ২০৬ আসনে পৌঁছেছিল। একই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০১৪ সালে দলের আসন সংখ্যা ২৫০-এর বেশি হতে পারত। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসের আসন যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেই জন্যই বিভিন্ন পরিকল্পনা ও হস্তক্ষেপ চালানো হয়েছিল।

আপনার মতামত লিখুন

গণবার্তা

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫


২০১৪ সালের কংগ্রেসের পরাজয়ের পেছনে সিআইএ ও মোসাদের হস্তক্ষেপের দাবি সাবেক এমপির

প্রকাশের তারিখ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫

featured Image
ভারতের ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বড় পরাজয়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাত ছিল—এমন দাবি করেছেন কংগ্রেসের নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য কুমার কেতকার।তিনি গত বুধবার মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সদর দপ্তর তিলক ভবনে সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন পায়। প্রধান বিরোধী দল হওয়ার যোগ্যতাও হারায়। কেতকার বলেন, “কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কীভাবে ২০৬ থেকে হঠাৎ ৪৪-এ নেমে গেল, আমি বিশ্বাস করি না। জনমতের প্রতিফলন একা এমন পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। অবশ্যই অসন্তোষ ছিল, অভিযোগও ছিল। কিন্তু এত বড় ধাক্কা শুধু তা-ই নয়।”কেতকার আরও বলেন, “কিছু সংস্থা বুঝতে পেরেছিল যে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় এলে তাদের সামরিক ও শিল্পনীতি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এসব সংস্থার মধ্যে অন্যতম ছিল সিআইএ এবং মোসাদ। তারা ভারতের প্রতিটি আসনের বিস্তারিত তথ্য বিশ্লেষণ করেছিল।”তিনি মোসাদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “মোসাদকে অবমূল্যায়ন করা যাবে না। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নির্বাচন-সহ প্রতিটি আসনের ওপর গভীর গবেষণা চালিয়েছে।”কেতকারের মতে, কংগ্রেস ২০০৪ সালে ১৪৫ আসন থেকে ২০০৯ সালে ২০৬ আসনে পৌঁছেছিল। একই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০১৪ সালে দলের আসন সংখ্যা ২৫০-এর বেশি হতে পারত। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসের আসন যাতে বৃদ্ধি না পায়, সেই জন্যই বিভিন্ন পরিকল্পনা ও হস্তক্ষেপ চালানো হয়েছিল।

গণবার্তা

সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ 
প্রকাশকঃ ফিরোজ আল-মামুন 

কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গণবার্তা