সোমবার উপস্থাপিত নতুন বাজেট অনুযায়ী আগামী বছরে জাতিসংঘের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.২৪ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালের তুলনায় ৫৭৭ মিলিয়ন ডলার কম। পাশাপাশি কর্মীসংখ্যা ১৮.৮ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর মিলিয়ে মোট ২,৬৮১টি পদ বাতিল করা হবে।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও মেক্সিকোর কাছ থেকে পাওনা বকেয়ার বিলম্বই এ ঘাটতির মূল কারণ। দীর্ঘদিন ধরে চলা তরলতা সংকটের কারণে সংস্থাটির প্রায় ১৮ শতাংশ পদ ইতোমধ্যেই শূন্য পড়ে আছে, তবে এগুলো কাটছাঁটের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। মহাসচিব বলেন, “অনেক পদ শূন্য থাকলেও প্রতিস্থাপনের জন্য আমাদের হাতে অর্থ নেই।” সংকট সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা UNRWA-র বাজেট অপরিবর্তিত থাকবে, জানিয়েছে দপ্তর। গুতেরেস বলেন, “গাজার মানবিক সংকটের মেরুদণ্ডে কোনো কাটছাঁট অগ্রহণযোগ্য।” একইভাবে আফ্রিকায় উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির বাজেটও অপরিবর্তিত থাকবে।
এদিকে বিশেষ রাজনৈতিক মিশনের বরাদ্দ ২১.৬ শতাংশ কমিয়ে ২০২৬ সালের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪৩.৬ মিলিয়ন ডলার। বিভিন্ন মিশন বন্ধ করা এবং কিছু মিশনের কার্যক্রম সীমিত করা হবে ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে। অর্থনৈতিক চাপ কমাতে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের দপ্তরগুলোও সঙ্কুচিত করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল রিয়েল এস্টেট মার্কেটে থাকা এই অফিসগুলোর মধ্যে দুটি ইজারা ২০২৭ সালের মধ্যে বাতিল করা হবে, যা ২০২৯ সাল থেকে বছরে ২৪.৫ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবে।
২০১৭ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন অফিস বন্ধ করে সংস্থাটি ইতোমধ্যেই ১২৬ মিলিয়ন ডলার সেভ করেছে। জাতিসংঘ বলছে, বর্তমান সংকট কাটাতে সদস্য দেশগুলোকে দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করতে হবে; নইলে সংস্থার বৈশ্বিক মানবিক, শান্তিরক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রম আরও বড় চাপের মুখে পড়বে।

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন