ঢাকা    বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গণবার্তা

পাকিস্তানের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ হলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির

পাকিস্তানের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ হলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য দেশটির প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এর মধ্য দিয়ে দেশটির স্থল, নৌ ও বিমান—তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ড এবং পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তাঁর হাতে ন্যস্ত হলো। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক্সে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সিওএএস (চিফ অব আর্মি স্টাফ) ও সিডিএফ—উভয় পদে মুনিরকে নিযুক্ত করার সুপারিশ পাঠান। সেই প্রস্তাবই অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মুনিরের হাতে আরও ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন—এমন গুঞ্জনের মধ্যেই তাঁকে নতুন পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।

সম্প্রতি পাস হওয়া পাকিস্তানের ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সিডিএফ পদটি সৃষ্টি করা হয়। নতুন এই পদ সামরিক বাহিনীর তিন শাখার ওপর পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নেতৃত্ব দেয়। এই কমান্ড পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। ফলে আসিম মুনির বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সামরিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানায়, সিওএএস-এর দায়িত্বে থাকা মুনিরকে অতিরিক্ত এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। একই সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আহমাদ বাবর সিধুর মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা আগামী বছরের ১৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।

মুনির চলতি বছর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল মর্যাদা অর্জন করেছেন। এর আগে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আইয়ুব খান এই খেতাব পেয়েছিলেন।

নতুন সিডিএফ পদ গ্রহণের মাধ্যমে আসিম মুনির প্রেসিডেন্টের মতোই আজীবন আইনি দায়মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে। একই সুবিধা নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে পুনরায় দায়িত্ব পেতে হলে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের অনুমোদন লাগবে—যদিও বিশাল ক্ষমতাবলে তা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নতুন সংশোধনী বলবৎ হওয়ায় বেসামরিক সরকারের সামরিক তদারকি আরও কমে গেছে। এখন থেকে ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবেন সিডিএফ, এবং কেন্দ্রীয় সরকার কেবল অনুমোদন দেবে—যা আগে ছিল সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে।

আপনার মতামত লিখুন

গণবার্তা

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫


পাকিস্তানের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ হলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির

প্রকাশের তারিখ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য দেশটির প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এর মধ্য দিয়ে দেশটির স্থল, নৌ ও বিমান—তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ড এবং পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তাঁর হাতে ন্যস্ত হলো। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় এক্সে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করে।প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সিওএএস (চিফ অব আর্মি স্টাফ) ও সিডিএফ—উভয় পদে মুনিরকে নিযুক্ত করার সুপারিশ পাঠান। সেই প্রস্তাবই অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মুনিরের হাতে আরও ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন—এমন গুঞ্জনের মধ্যেই তাঁকে নতুন পদে নিয়োগ দেওয়া হলো।সম্প্রতি পাস হওয়া পাকিস্তানের ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে সিডিএফ পদটি সৃষ্টি করা হয়। নতুন এই পদ সামরিক বাহিনীর তিন শাখার ওপর পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরাসরি ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নেতৃত্ব দেয়। এই কমান্ড পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। ফলে আসিম মুনির বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সামরিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানায়, সিওএএস-এর দায়িত্বে থাকা মুনিরকে অতিরিক্ত এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের জন্য। একই সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আহমাদ বাবর সিধুর মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা আগামী বছরের ১৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।মুনির চলতি বছর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল মর্যাদা অর্জন করেছেন। এর আগে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আইয়ুব খান এই খেতাব পেয়েছিলেন।নতুন সিডিএফ পদ গ্রহণের মাধ্যমে আসিম মুনির প্রেসিডেন্টের মতোই আজীবন আইনি দায়মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে। একই সুবিধা নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে পুনরায় দায়িত্ব পেতে হলে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের অনুমোদন লাগবে—যদিও বিশাল ক্ষমতাবলে তা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নতুন সংশোধনী বলবৎ হওয়ায় বেসামরিক সরকারের সামরিক তদারকি আরও কমে গেছে। এখন থেকে ভাইস চিফ অব আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবেন সিডিএফ, এবং কেন্দ্রীয় সরকার কেবল অনুমোদন দেবে—যা আগে ছিল সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে।

গণবার্তা

সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ 
প্রকাশকঃ ফিরোজ আল-মামুন 

কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গণবার্তা