আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটও নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারটির এক বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঘোষণা আসে যে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পরে সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে। সিইসির আজকের ঘোষণা সেই সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক রূপ।
সিইসি জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দেশের ৩০০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিস্তারিত সময়সূচি তুলে ধরেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ৪ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দাখিল করা যাবে ১১ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। এসব আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০২৬। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি ২০২৬। প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিইসি সবাইকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আন্তরিক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম জাতীয় নির্বাচন।

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন