ঢাকা    শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গণবার্তা

ভারতের আকাশে নতুন প্রতিযোগিতা – আলহিন্দ এয়ার, ফ্লাইএক্সপ্রেস ও শঙ্খ এয়ার

ভারতের আকাশে নতুন প্রতিযোগিতা – আলহিন্দ এয়ার, ফ্লাইএক্সপ্রেস ও শঙ্খ এয়ার

ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ খাতে নতুন সংযোজনের পথে এগোচ্ছে একাধিক এয়ারলাইন। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সম্প্রতি আলহিন্দ এয়ার (AlHind Air) এবং ফ্লাইএক্সপ্রেস (FlyExpress)-কে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (NOC) দিয়েছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশভিত্তিক শঙ্খ এয়ার (Sankha Air) একই ছাড়পত্র পেয়েছে এবং ২০২৬ সালে বাণিজ্যিক উড়ান শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

আলহিন্দ এয়ারের পেছনে রয়েছেন কেরালার ক্যালিকটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হারিস টি। তিনি আলহিন্দ গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা, যা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেল ও লজিস্টিক্স ব্যবসায় যুক্ত। পাশাপাশি তিনি ভারতীয় হাজ উমরাহ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে আলহিন্দ এয়ার ভারতের বিমান পরিবহণ শিল্পে নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি করতে যাচ্ছে।

বর্তমানে দেশে নির্ধারিত সময়সূচিভিত্তিক ঘরোয়া উড়ান চালায় মোট নয়টি সংস্থা। তবে বাজারের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ইন্ডিগো (Indigo) এবং এয়ার ইন্ডিয়া গোষ্ঠী – এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। এই দুই সংস্থার সম্মিলিত বাজারদখল ৯০ শতাংশেরও বেশি। বিশেষ করে ইন্ডিগোর একক বাজারদখল ৬৫ শতাংশের বেশি হওয়ায় কার্যত ‘ডুয়োপলি’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, নতুন সংস্থাগুলির আগমন বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং যাত্রীদের জন্য বিকল্প তৈরি করবে। সরকারের UDAN প্রকল্প ইতিমধ্যেই স্টার এয়ার, ইন্ডিয়া ওয়ান এয়ার এবং ফ্লাই৯১-এর মতো ছোট সংস্থাগুলিকে আঞ্চলিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করছে। নতুন এয়ারলাইনগুলির আগমন এই ক্ষেত্রেও বিস্তারের সুযোগ তৈরি করবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অতীতে জেট এয়ারওয়েজ ও গো ফার্স্ট-এর মতো সংস্থাগুলি আর্থিক সংকটে পড়ে পরিষেবা বন্ধ করেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে আলহিন্দ এয়ার, ফ্লাইএক্সপ্রেস এবং শঙ্খ এয়ারের মতো নতুন সংস্থার আগমন ভারতীয় উড়ান শিল্পে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।

আপনার মতামত লিখুন

গণবার্তা

শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫


ভারতের আকাশে নতুন প্রতিযোগিতা – আলহিন্দ এয়ার, ফ্লাইএক্সপ্রেস ও শঙ্খ এয়ার

প্রকাশের তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image
ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ খাতে নতুন সংযোজনের পথে এগোচ্ছে একাধিক এয়ারলাইন। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সম্প্রতি আলহিন্দ এয়ার (AlHind Air) এবং ফ্লাইএক্সপ্রেস (FlyExpress)-কে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (NOC) দিয়েছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশভিত্তিক শঙ্খ এয়ার (Sankha Air) একই ছাড়পত্র পেয়েছে এবং ২০২৬ সালে বাণিজ্যিক উড়ান শুরু করার পরিকল্পনা করছে।আলহিন্দ এয়ারের পেছনে রয়েছেন কেরালার ক্যালিকটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হারিস টি। তিনি আলহিন্দ গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা, যা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাভেল ও লজিস্টিক্স ব্যবসায় যুক্ত। পাশাপাশি তিনি ভারতীয় হাজ উমরাহ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে আলহিন্দ এয়ার ভারতের বিমান পরিবহণ শিল্পে নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি করতে যাচ্ছে।বর্তমানে দেশে নির্ধারিত সময়সূচিভিত্তিক ঘরোয়া উড়ান চালায় মোট নয়টি সংস্থা। তবে বাজারের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ইন্ডিগো (Indigo) এবং এয়ার ইন্ডিয়া গোষ্ঠী – এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। এই দুই সংস্থার সম্মিলিত বাজারদখল ৯০ শতাংশেরও বেশি। বিশেষ করে ইন্ডিগোর একক বাজারদখল ৬৫ শতাংশের বেশি হওয়ায় কার্যত ‘ডুয়োপলি’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন, নতুন সংস্থাগুলির আগমন বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং যাত্রীদের জন্য বিকল্প তৈরি করবে। সরকারের UDAN প্রকল্প ইতিমধ্যেই স্টার এয়ার, ইন্ডিয়া ওয়ান এয়ার এবং ফ্লাই৯১-এর মতো ছোট সংস্থাগুলিকে আঞ্চলিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করছে। নতুন এয়ারলাইনগুলির আগমন এই ক্ষেত্রেও বিস্তারের সুযোগ তৈরি করবে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অতীতে জেট এয়ারওয়েজ ও গো ফার্স্ট-এর মতো সংস্থাগুলি আর্থিক সংকটে পড়ে পরিষেবা বন্ধ করেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে আলহিন্দ এয়ার, ফ্লাইএক্সপ্রেস এবং শঙ্খ এয়ারের মতো নতুন সংস্থার আগমন ভারতীয় উড়ান শিল্পে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।

গণবার্তা

সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ 
প্রকাশকঃ ফিরোজ আল-মামুন 

কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গণবার্তা