দেশের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সারাদেশেই ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে উত্তরবঙ্গের অসহায় মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ধরলা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন। শীতবস্ত্রের অভাব এবং আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় তাদের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে ১০.৪, রংপুরে ১১.২, ময়মনসিংহে ১১.৫, দিনাজপুরে ১১.৫, সৈয়দপুরে ১১.৪, তেঁতুলিয়ায় ১১.০, কুড়িগ্রামে ১১.৪ এবং চুয়াডাঙ্গায় ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিন ছিল ৯ ডিগ্রি। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ।
এদিকে কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ব্রহ্মপুত্র ঘাটের মাঝি শাহ আলম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে গত দু’দিন ধরে তিনি কোনো আয় করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ও বেসরকারিভাবে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও অনেক চরাঞ্চলের মানুষের কাছে তা এখনও পৌঁছায়নি। তীব্র শীতে তারা চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
বিষয় : শৈত্যপ্রবাহ

শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন