গনবার্তা

ডেঙ্গু: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি ও প্রতিরোধ

ডেঙ্গু: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি ও প্রতিরোধ

ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা হয় এবং এডিস প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ

ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে—

  • উচ্চ জ্বর (প্রায় ৪০–৪১°C পর্যন্ত)

  • তীব্র মাথাব্যথা

  • চোখের পিছনে চাপ অনুভব বা ব্যথা

  • পেশী ও গাঁটে তীব্র ব্যথা

  • বমি বমি ভাব বা বমি

  • ত্বকে লাল দাগ বা ফুসকুড়ি

  • প্রচণ্ড ক্লান্তি বা দুর্বলতা

  • ডায়রিয়া

বেশিরভাগ রোগীই ১–২ সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবে অসতর্কতায় রোগটি জটিল আকার ধারণ করতে পারে।


মারাত্মক ডেঙ্গুর সতর্ক সংকেত

নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে

  • পেটে তীব্র ব্যথা

  • বারবার বমি হওয়া

  • নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত

  • বমি বা মলের সাথে রক্ত আসা

  • অতিরিক্ত দুর্বলতা, অস্থিরতা অথবা অস্বাভাবিক বিরক্তি

এই উপসর্গগুলো দেখা মানেই রোগী ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’-এর ঝুঁকিতে থাকতে পারেন।


ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়

১) মশার কামড় থেকে সুরক্ষা

  • দিন-রাত মশারি ব্যবহার করুন।

  • মশা তাড়ানোর স্প্রে, লোশন বা কয়েল ব্যবহার করুন।

  • শরীর ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরার চেষ্টা করুন।

২) পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখুন

  • কোনো পাত্রে স্থির পানি জমতে দেবেন না—টব, ফুলের টবের নিচের ট্রে, ভাঙা বালতি, পুরোনো টায়ার ইত্যাদি।

  • ছাদ, বারান্দা, নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

  • ড্রেন বা জলাবদ্ধতা দূর করুন।

৩) ঘর ও অফিসের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন

  • আবর্জনা সঠিকভাবে অপসারণ করুন।

  • জমানো পানির পাত্রগুলো ঢেকে রাখুন।


সাধারণ ভুল ধারণা ও সত্য

ডেঙ্গু সাধারণ জ্বর মাত্র।

✔ আসলে এটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা শরীরে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে।

ডেঙ্গু শুধু দিনের বেলাতেই হয়।

✔ এডিস মশা দিনের বেলাতেও এবং আলো-আঁধারিতে বেশ সক্রিয় থাকে।


যদি ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেয়

দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করুন এবং নিজের তাপমাত্রা ও অবস্থার প্রতি সতর্ক থাকুন।

আপনার মতামত লিখুন

গনবার্তা

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫


ডেঙ্গু: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি ও প্রতিরোধ

প্রকাশের তারিখ : ২৪ নভেম্বর ২০২৫

featured Image
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা হয় এবং এডিস প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে— উচ্চ জ্বর (প্রায় ৪০–৪১°C পর্যন্ত) তীব্র মাথাব্যথা চোখের পিছনে চাপ অনুভব বা ব্যথা পেশী ও গাঁটে তীব্র ব্যথা বমি বমি ভাব বা বমি ত্বকে লাল দাগ বা ফুসকুড়ি প্রচণ্ড ক্লান্তি বা দুর্বলতা ডায়রিয়া বেশিরভাগ রোগীই ১–২ সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবে অসতর্কতায় রোগটি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। মারাত্মক ডেঙ্গুর সতর্ক সংকেত নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে নিকটস্থ হাসপাতালে যেতে হবে— পেটে তীব্র ব্যথা বারবার বমি হওয়া নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত বমি বা মলের সাথে রক্ত আসা অতিরিক্ত দুর্বলতা, অস্থিরতা অথবা অস্বাভাবিক বিরক্তি এই উপসর্গগুলো দেখা মানেই রোগী ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’-এর ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায় ১) মশার কামড় থেকে সুরক্ষা দিন-রাত মশারি ব্যবহার করুন। মশা তাড়ানোর স্প্রে, লোশন বা কয়েল ব্যবহার করুন। শরীর ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরার চেষ্টা করুন। ২) পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখুন কোনো পাত্রে স্থির পানি জমতে দেবেন না—টব, ফুলের টবের নিচের ট্রে, ভাঙা বালতি, পুরোনো টায়ার ইত্যাদি। ছাদ, বারান্দা, নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। ড্রেন বা জলাবদ্ধতা দূর করুন। ৩) ঘর ও অফিসের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন আবর্জনা সঠিকভাবে অপসারণ করুন। জমানো পানির পাত্রগুলো ঢেকে রাখুন। সাধারণ ভুল ধারণা ও সত্য ❌ ডেঙ্গু সাধারণ জ্বর মাত্র। ✔ আসলে এটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা শরীরে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। ❌ ডেঙ্গু শুধু দিনের বেলাতেই হয়। ✔ এডিস মশা দিনের বেলাতেও এবং আলো-আঁধারিতে বেশ সক্রিয় থাকে। যদি ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেয় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করুন এবং নিজের তাপমাত্রা ও অবস্থার প্রতি সতর্ক থাকুন।

গনবার্তা

সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ 
প্রকাশকঃ ফিরোজ আল-মামুন 

কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গনবার্তা