টাঙ্গাইল: সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল পৌরসভার কান্দাপাড়া রোডে জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান চালিয়ে বাসি-পঁচা মাংস ব্যবহার করে বিরিয়ানি তৈরি করা এক রান্নাঘরকে ধরা পড়েছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল।
অভিযান চলাকালীন রান্নাঘরে নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধ বিরাজ করছিল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিদিন আগের দিনের বাসি খাবার গরম করে পুনরায় স্থানীয় তিনটি জনপ্রিয় বিরিয়ানি ব্র্যান্ডে সরবরাহ করা হতো—কাচ্চি খাদক, হাজী বিরিয়ানি এবং হানিফ বিরিয়ানি।
আসাদুজ্জামান রোমেল সাংবাদিকদের বলেন,
“রান্নাঘর জুড়ে নোংরা পরিবেশ ও দুর্গন্ধ বিরাজ করছিল। আগের দিনের বাসি খাবার এখানে গরম করে পুনরায় সরবরাহ করা হতো। এটি ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।”
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রান্নাঘরটির বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করেছে। পাশাপাশি রান্নাঘরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে নিয়মিত তদারকি করা হবে এবং খাদ্য প্রস্তুতিতে মান নিশ্চিত করতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাসি বা পঁচা মাংস ব্যবহারের ফলে খাদ্যে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হতে পারে, যা ফুড পয়জনিং, বমি বা ডায়রিয়ার মতো স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
গ্রাহকরা নতুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার আশা করে অর্থ ব্যয় করেন। কিন্তু সেখানে বাসি মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে—এটি ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের একটি মারাত্মক উদাহরণ।
অভিযান ও জরিমানা ভোক্তাদের ন্যায্য অধিকার সুরক্ষার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
এই ঘটনা স্থানীয় খাদ্যব্যবসায়ীদের মধ্যে সতর্কতা সৃষ্টি করবে এবং অন্যদেরও মানসম্মত খাদ্য সরবরাহে উদ্বুদ্ধ করবে।
নিয়মিত অভিযান ও তদারকি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত লঙ্ঘন কমানো সম্ভব।
ভোক্তারা সচেতন থাকলে এবং অভিযোগ দায়ের করলে, এমন অসৎ কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব হবে।
সংক্ষেপে: টাঙ্গাইলে বাসি-পঁচা মাংস ব্যবহার করে বিরিয়ানি প্রস্তুত করা রান্নাঘরের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এটি খাদ্য নিরাপত্তা, ভোক্তা অধিকার ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে থাকবে।

মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন