ভয়াবহ লঞ্চ সংঘর্ষে নিহত ৩, নিখোঁজ ও আহত বহু
ভোলার দুলারহাট থানার ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী এমভি জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চের সঙ্গে অপর একটি লঞ্চ, সম্ভবত অ্যাডভেঞ্চার–৯, ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই অন্তত তিনজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের বরাতে জানা যায়, অ্যাডভেঞ্চার–৯ লঞ্চটি সজোরে জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চের মাঝ বরাবর ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষে দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংঘর্ষের মুহূর্তে নিহত নারী যাত্রী মর্মান্তিকভাবে দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অপর দুইজন পুরুষ যাত্রীও ঘটনাস্থলে অথবা গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত সাত থেকে আটজন যাত্রী। সংঘর্ষের তীব্রতায় বহু যাত্রী নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।স্থানীয় জেলে ও নৌযান শ্রমিকদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মাঝনদীতে ক্ষতিগ্রস্ত জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটি ডুবো-ডুবো অবস্থায় ভাসতে থাকলে ভোলা থেকে ঢাকাগামী এমভি কর্ণফুলী–৯ লঞ্চ দ্রুত এগিয়ে এসে অনেক যাত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।অন্যদিকে, নিহতদের লাশ ও গুরুতর আহত যাত্রীদের নিয়ে জাকির সম্রাট–৩ লঞ্চটি দ্রুত চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।এই দুর্ঘটনা আবারও দেশের নৌপথে যাত্রী নিরাপত্তা ও লঞ্চ পরিচালনার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।