গনবার্তা
সর্বশেষ

শেখ হাসিনার ২ লকারে মিলল ৮৩২ ভরি সোনার গয়না

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নামে থাকা অগ্রণী ব্যাংকের দুই লকার থেকে মোট ৮৩২ ভরি ৫০ পয়সা (≈ ৮৩২.৫ ভরি) সোনার গয়না উদ্ধার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)–এর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (CIC) এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৫ নভেম্বর) আদালতের অনুমতি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই লকার দুটি (নম্বর ৭৫১ ও ৭৫৩) খোলা হয়। লকার খোলার সময় সোনার গয়নার পাশাপাশি এমন কিছু উপহার-পদকও পাওয়া গেছে, যা বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত বলে জানা যায়। এক সিনিয়র CIC কর্মকর্তা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, “নিয়ম ও ব্যাংক বিধি মেনে যাচাই করা হয়েছে”। লকার জব্দের পর কার্ডারদের সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে মিল আছে কি না তা যাচাই করার জন্য গঠন করা হয়েছে তদন্ত টিম। উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত একটি শাখার লকারও জব্দ করার ঘটনা ঘটে। সেই লকারে কোনো মূল্যবান কিছু পাওয়া যায়নি। বিগত আগস্টে ছাত্র–জনতার আব্দুঃবিক্ষোভের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি, অনধিক সম্পদ অর্জন এবং দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের নামে থাকা লকার ও অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় দ্বিগুণ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে,এক পক্ষের দাবি, এটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ; অন্য পক্ষের দাবি, প্রক্রিয়া ও প্রমাণ-ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছতা প্রয়োজন।অগামী দিনে গোয়েন্দা এবং অপরাধ দমন দপ্তরগুলো এই সোনার উৎস, এর আইনগত দিক এবং কর ফাঁকি-অভিযোগ সংক্রান্ত হিসাব–নিকাশ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২৬ নভেম্বর ২০২৫

ডিজিটাল সেবায় নতুন মাত্রা: এখন ঘরে বসেই মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ

গণবার্তা প্রতিবেদক ঢাকা, মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোরেল এখন থেকে আরও আধুনিক, আরও যাত্রীবান্ধব। র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড রিচার্জের জন্য আর স্টেশনে ছুটতে হবে না—আজ মঙ্গলবার থেকে যেকোনো স্থান থেকেই অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব ধরনের অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে। রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে এই বহুল প্রত্যাশিত সুবিধার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার। উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শরাফত উল্লাহ খান, ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম এবং এসএসএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম। ডিজিটাল যাত্রায় বড় পদক্ষেপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, “এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের গণপরিবহনে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।” তিনি জানান, অনলাইন রিচার্জের ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই কার্ডে ব্যালেন্স রিচার্জ করতে পারবেন, যা সময় ও ঝামেলা উভয়ই কমাবে। অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি গণপরিবহনে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে মেট্রোরেলসহ সব গণপরিবহন সেবাকে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আনা হবে। ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, এই সেবা চালু হওয়ায় যাত্রীরা স্টেশনে ভিড় না করেই দ্রুত রিচার্জ করতে পারবেন। নগদহীন পেমেন্টের প্রসারও বাড়বে। ১৬টি স্টেশনে ৩২টি এভিএম মেশিন অনুষ্ঠনে জানানো হয়, রাজধানীর ১৬টি মেট্রো স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম) স্থাপন করা হয়েছে। অনলাইনে রিচার্জের পর ব্যালেন্স যুক্ত করতে কার্ডটি অবশ্যই এভিএমে স্পর্শ করাতে হবে। আগামী মাসে মেট্রোরেলের নিজস্ব অ্যাপ চালু হলে আরও সহজে রিচার্জ করা যাবে। প্রথমবার অনলাইন রিচার্জের জন্য ওয়েবসাইট বা অ্যাপে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কীভাবে অনলাইনে রিচার্জ করবেন ১. https://www.rapidpass.com.bd/ ওয়েবসাইট বা অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে ২. র‍্যাপিড পাস/এমআরটি পাস কার্ডটি আগে নিবন্ধিত না থাকলে নিবন্ধন করতে হবে ৩. বিকাশ, নগদ, রকেট, ব্যাংক কার্ডসহ ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় রিচার্জ করা যাবে ৪. রিচার্জের পর স্টেশনের এভিএমে কার্ড স্পর্শ করলে ব্যালেন্স আপডেট হবে ৫. সফল রিচার্জের পর ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত নম্বরে এসএমএস যাবে রিচার্জ সীমা ও শর্ত একবারে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা রিচার্জ করা যাবে একই সময়ে শুধুমাত্র একটি পেন্ডিং রিচার্জ গ্রহণযোগ্য ব্ল্যাকলিস্টেড, রিফান্ডেড বা অবৈধ কার্ডে রিচার্জ করা যাবে না প্রয়োজনে ৭ দিনের মধ্যে রিচার্জ বাতিল করা যাবে, তবে ৫% সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য ব্ল্যাকলিস্ট–জনিত পেন্ডিং ট্রানজেকশনেও রিফান্ড পাওয়া যাবে, সেক্ষেত্রেও ৫% চার্জ কাটা হবে যাত্রীসেবায় নতুন অভিজ্ঞতা মেট্রোরেলের যাত্রীদের মতে, অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু হওয়ায় যাতায়াত এখন আরও দ্রুত, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক হবে। কাজের ব্যস্ততার কারণে স্টেশনে যাওয়ার সময় না পাওয়া মানুষের জন্য এটি হবে বড় স্বস্তি। গণপরিবহনের ডিজিটাল রূপান্তরের অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ রাজধানীর যাতায়াত ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে আরও সেবাকে অনলাইনে যুক্ত করার পরিকল্পনাও জানায় ডিটিসিএ।C
২৫ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে

ঢাকা, ২৪ নভেম্বর: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের সূত্র জানায়, তার হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা তাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে।সূত্র জানায়, হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার বুকে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগে থেকেই থাকা হৃদরোগের সঙ্গে এই সংক্রমণ ফুসফুস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয়।মেডিক্যাল বোর্ডের অন্য একজন সদস্য (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, আজও বোর্ড বৈঠক করেছে এবং আরও কিছু পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লন্ডন থেকে তার বড় ছেলে তারেক রহমান এবং পুত্রবধূ ডা: জুবাইদা রহমান নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। ঢাকায় তার পাশে রয়েছেন মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি। প্রায় ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান এবং ১১৭ দিন পর গত ৬ মে দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর থেকেও তাকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
২৪ নভেম্বর ২০২৫
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এই রায়কে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে।রায় প্রকাশ–এর ফলে কী পরিবর্তন হলো?আইন অনুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকেই ৩০ দিনের আপিলের সময় গণনা শুরু হয়। এর অর্থ— ✔ আসামিরা এখন আপিল করতে পারবেন ✔ রাষ্ট্রপক্ষও প্রয়োজনে আপিল বা রিভিউয়ের সুযোগ পাবে ✔ আপিল বিভাগে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে না দণ্ডআইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মাধ্যমে মামলাটি এখন নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করলো।কোন কোন অভিযোগে দণ্ড?১৭ নভেম্বর দেওয়া সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছিল— দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড, একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড, একটি অভিযোগে আসাদুজ্জামান কামালকে মৃত্যুদণ্ড, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রমাণিত হয়েছে— ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ, নির্যাতন, হত্যা এবং সংগঠিত তৎপরতার সঙ্গে আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসূত্র ছিল।ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণপূর্ণাঙ্গ রায়ে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করে— অপরাধগুলো ছিল সংগঠিত, পরিকল্পিত ও রাষ্ট্রবিরোধী। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তারা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে অপরাধকে উৎসাহিত করেছিলেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ, নথি ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগে আসামিদের দায় সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়ছেরায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা ও ভিন্নমত দেখা দিয়েছে।সরকারপন্থীদের প্রতিক্রিয়াসরকারপক্ষ বলছে— “অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রায় দেওয়া হয়েছে—এটি আইনের শাসনের বিজয়।”বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়াবিরোধী দলের দাবি— “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিন্নমত দমনের এক প্রক্রিয়া। তারা দ্রুত আপিল প্রক্রিয়ায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।”বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের রাজনীতি এখন আরও উত্তপ্ত হবে এবং আপিল শুনানি জাতীয় আলোচ্যসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।আইনি বিশ্লেষণ: কী হবে সামনে?আইনজীবীরা মনে করছেন— আপিল বিভাগে এই মামলা দীর্ঘ শুনানি হতে পারে আসামিপক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আইনজীবীদের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষও শক্তিশালী আইন টিম গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আদালত আপিল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করলে মামলার ভবিষ্যৎ দিক স্পষ্ট হবে।জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রায় প্রকাশের পরই তীব্র আলোচনা শুরু হয়। এক পক্ষ বলছে, “বিচার পেয়েছে শহীদ পরিবারগুলো।” অন্য পক্ষ বলছে, “রায় রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত।”সামাজিক বিশ্লেষকরা বলছেন— “এই রায়ের ফলে দেশের রাজনৈতিক বিভাজন আরও জটিল হবে, তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলা যাবে না।” মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে বহু আলোচিত এই মামলার আইনি যাত্রা নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল। এখন সবার দৃষ্টি— আপিল বিভাগ কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয়।
১৮ ঘন্টা আগে
জাতীয়

জাতীয়

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ এর সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা নিয়েছে। এর আগে তারা প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে হেফাজতে নিয়েছে। দেশটির সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জটিলতা ও দুই প্রার্থীর নিজ নিজ বিজয় দাবি উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যা শেষ পর্যন্ত সামরিক অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে জানান, দেশের দায়িত্ব এখন তাদের হাতে। নিজেদের‘উচ্চ সামরিক কমান্ড' হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা তাদের প্রধান লক্ষ্য।সামরিক বাহিনী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এছাড়া আকাশ, স্থল ও নৌ সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে এবং রাতের সময় কারফিউ জারি করা হয়েছে।এর আগে রাজধানী বিসাউ-এর প্রেসিডেন্ট ভবন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের আশপাশে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরই সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা দেয়।সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন গিনি-বিসাউয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে।
৫ ঘন্টা আগে
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

অশ্বগন্ধা: আধুনিক জীবনে প্রাচীন ভেষজের নতুন সম্ভাবনা

অশ্বগন্ধা: আধুনিক জীবনে প্রাচীন ভেষজের নতুন সম্ভাবনা

দ্রুতগতির আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, এনার্জি–ঘাটতি, হরমোনের অস্থিরতা—এসব যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। এমন সময়ে বহু মানুষ ফিরে যাচ্ছেন প্রাকৃতিক উপাদানের দিকে। আর ঠিক এই জায়গাতেই অশ্বগন্ধা আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় শত শত বছর ধরে ব্যবহৃত এই ভেষজটিকে অনেকে বলেন “ইন্ডিয়ান জিনসেং”—শরীর ও মনের সার্বিক শক্তি বাড়ানোর জন্য বিখ্যাত। অশ্বগন্ধা শুধু হারবাল সাপ্লিমেন্ট নয়; এটি একটি অ্যাডাপ্টোজেন, যা শরীরকে স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। সাম্প্রতিক গবেষণা, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা এবং ভোক্তাদের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে ভেষজটি এখন স্বাস্থ্য–সচেতন মানুষের অন্যতম পছন্দ। ✨ অশ্বগন্ধার ১০টি প্রধান উপকারিতা ১) স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায় অশ্বগন্ধা কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোন কমায়। নিয়মিত সেবনে মানসিক চাপ কমে, উদ্বেগ হ্রাস পায়, মন অনেকটা শান্ত থাকে। ২) ঘুমের মান উন্নত করে যারা অনিদ্রায় ভোগেন, তাদের রাতে গভীর ও আরামদায়ক ঘুমে সহায়তা করে। ঘুমের মান ভালো হওয়ায় পরদিন এনার্জিও বাড়ে। ৩) শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ায় ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স বাড়ায়, ক্লান্তি কমায়। যারা জিম করেন বা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে চান, তাদের জন্য উপকারী। ৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, সর্দি–কাশি বা বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ৫) হরমোন ব্যালান্স বজায় রাখে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন বাড়াতে, নারীদের মাসিক সমস্যা বা হরমোনজনিত অস্বস্তি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। ৬) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় মেমোরি, মনোযোগ ও একাগ্রতা উন্নত হয়। স্ট্রেস কমে যাওয়ায় মানসিক স্বচ্ছতা বাড়ে। ৭) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে টাইপ–২ ডায়াবেটিসে ব্লাড সুগার কমাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ৮) হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে স্ট্রেস কমানো, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও প্রদাহ কমানোর মাধ্যমে হার্টের প্রতি সুরক্ষা দেয়। ৯) প্রদাহ ও ব্যথা কমায় অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি গুণ প্রদাহ, জয়েন্ট পেইন ও সাধারণ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ১০) পুরুষদের প্রজনন সক্ষমতা বাড়ায় স্পার্ম কাউন্ট ও গুণগত মান উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে। ???? ব্যবহারের ধরন পাউডার: দুধ বা মধুর সাথে ক্যাপসুল ট্যাবলেট হারবাল চা ⚠ সতর্কতা ও বিশেষ নির্দেশনা গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য সুপারিশ করা হয় না থাইরয়েড, ডায়াবেটিস বা নিয়মিত ওষুধ গ্রহণকারীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত অতিরিক্ত সেবনে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা, বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে ???? বিশ্বজুড়ে অশ্বগন্ধার বাজার ও গবেষণা পরিস্থিতি অশ্বগন্ধা এখন শুধু ভারতীয় উপমহাদেশেই নয়— যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য—এসব দেশে ব্যাপকভাবে রপ্তানি হয়। বিশেষত নিউট্রিশন সাপ্লিমেন্ট কোম্পানি, স্পোর্টস নিউট্রিশন ব্র্যান্ড ও হারবাল ওয়েলনেস কোম্পানিগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ভারতের বেশ কিছু ব্র্যান্ড অশ্বগন্ধা ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মানের জয়েন্ট প্রজেক্ট করেছে—যেখানে আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চমানের এক্সট্র্যাক্ট তৈরি করা হয়। অনেক দেশ আগে সরাসরি অশ্বগন্ধা গুঁড়ো আমদানি করলেও এখন স্ট্যান্ডার্ডাইজড এক্সট্র্যাক্ট (KSM-66, Sensoril®) এনে নিজেদের দেশে ক্যাপসুল বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে এসেম্বল করছে। এতে গুণগত মান ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ???? পাঠকের জন্য বার্তা অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী ভেষজ—কিন্তু এটি চিকিৎসা নয়, সহায়ক পুষ্টি উপাদান। দীর্ঘদিন শারীরিক–মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে এটি কার্যকর হতে পারে। তবে যেকোনো সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে নিজের স্বাস্থ্য–অবস্থা অনুযায়ী পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ পথ। আপনি যদি স্ট্রেস, ঘুমের সমস্যা, এনার্জির ঘাটতি কিংবা হরমোনজনিত অস্বস্তিতে ভোগেন—তাহলে অশ্বগন্ধা আপনার নিয়মিত রুটিনে যুক্ত করা উপকারী হতে পারে।
২৫ নভেম্বর ২০২৫
অনলাইন জরিপ

অনলাইন জরিপ

১৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচনের বিষয়ে কি আপনি একমত ?

ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচনের বিষয়ে কি আপনি একমত ?

  হ্যাঁ
  না
  মন্তব্য নেই
মোট ভোটদাতাঃ জন
বিনোদন

বিনোদন

বলিউডি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই

বলিউডি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই

বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই। সোমবার মুম্বাইয়ে ৮৯ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রায়টার্স ও এপি নিউজ জানিয়েছে, সংক্ষিপ্ত অসুস্থতার পর তার মৃত্যু হয় এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রে ‘হি-ম্যান’ খ্যাত এই অভিনেতার প্রয়াণে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়ানোর আগেও একাধিকবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়ায় এবং সে সময় তার স্ত্রী হেমা মালিনী ও মেয়ে এশা দেওল জানিয়েছিলেন যে তিনি স্থিতিশীল আছেন। তবে সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। ছয় দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী তার ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি ভারতীয় সিনেমার এক অনন্য নক্ষত্রে পরিণত হয়েছিলেন। ‘শোলে’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ধর্ম বীর’, ‘সীতা অউর গীতা’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করে তিনি দর্শকের মনে স্থায়ী জায়গা করে নেন। মুম্বাইয়ের পাওয়ান হান্স ক্রিমেটোরিয়ামে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সালমান খানসহ বলিউডের বহু তারকা। চলচ্চিত্র নির্মাতা করণ জোহর তাকে ‘একটি যুগের সমাপ্তি’ বলে অভিহিত করে সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন বার্তা শেয়ার করেছেন। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু ভারতীয় চলচ্চিত্রের জন্য এক গভীর ক্ষতি; তার অভিনয়, ব্যক্তিত্ব ও মানবিকতা দীর্ঘদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
২৪ নভেম্বর ২০২৫
ওয়েব স্টোরি

ওয়েব স্টোরি

লাইফ স্টাইল

লাইফ স্টাইল

ছোট্ট দানা, অসাধারণ উপকার

ছোট্ট দানা, অসাধারণ উপকার

প্রাচীন ভেষজ চিকিৎসায় বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে একটি ছোট গোল দানা—কাবাব চিনি। কিউবেব পেপার নামে পরিচিত এই মসলার আকার গোলমরিচের মতো হলেও এর লেজের মতো ছোট্ট ডাঁটা একে আলাদা করে চেনায়। মধ্যযুগ থেকে শুরু করে ইউনানি, আয়ুর্বেদ, এমনকি প্রাচীন আরব চিকিৎসায়ও এটি ছিল অত্যন্ত মূল্যবান। সময় বদলেছে, কিন্তু কাবাব চিনির গুরুত্ব এখনও কমেনি। আধুনিক গবেষণায়ও দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যরক্ষায় এর রয়েছে বিস্ময়কর উপকারিতা। হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকর খাওয়ার পর অজীর্ণ, পেট ফাঁপা বা গ্যাস্ট্রিক—এসব সমস্যা আজকাল খুবই সাধারণ। কাবাব চিনি হজমের এনজাইম সক্রিয় করে দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ কমায়, ফলে দীর্ঘমেয়াদে হজমশক্তি উন্নত হয়। কাশি ও গলা ব্যথায় উপশম শীত, ধুলা বা সংক্রমণ—যে কারণেই হোক, কাশি ও গলা ব্যথা সারাতে কাবাব চিনি বেশ পরিচিত। অনেকে সরাসরি দানা চিবিয়ে খান, কেউ আবার ক্বাথ বা হারবাল চা তৈরি করে পান করেন। এতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান কফ কমায় ও গলার জ্বালা সারাতে সাহায্য করে। শ্বাসযন্ত্রে আরামের অনুভূতি হাঁপানি, সাইনাস বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য কাবাব চিনি একটি প্রাকৃতিক সহায়ক ভেষজ। এতে আছে অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি গুণ, যা শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে সহায়ক। শ্বাস হালকা করা ও বুকে জমে থাকা কফ বের করতেও এটি কার্যকর বলে হারবাল বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ছোট্ট এই দানায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত গ্রহণে ভাইরাস–ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। সর্দি–কাশির মৌসুমে তাই অনেকে এটিকে প্রাকৃতিক সুরক্ষা হিসেবে ব্যবহার করেন। মূত্রনালি পরিষ্কারে সহায়তা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI) বা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাতে কাবাব চিনি বিশেষভাবে উপকারী। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ মূত্রনালিকে পরিষ্কার রাখে এবং ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমায়। যৌন শক্তি বাড়াতে প্রাচীন চিকিৎসায় পরিচিত ইউনানি চিকিৎসায় কাবাব চিনি পুরুষদের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে শতাব্দী ধরে। এটি স্নায়ুবল বাড়ায় এবং প্রাকৃতিকভাবে যৌনশক্তি উন্নত করে বলে বলা হয়। অনেক ভেষজ টনিকের প্রধান উপাদানও এটি। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কার্যকর যেমনই হোক খাবার, কখনও কখনও মুখে দুর্গন্ধ থেকে যায়। কাবাব চিনি চিবিয়ে খেলে মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়, ফলে নিঃশ্বাস হয় সতেজ ও প্রাকৃতিকভাবে সুগন্ধযুক্ত। লিভার ও বিপাকক্রিয়ায় উপকার লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাবাব চিনি সহায়ক বলে আয়ুর্বেদে উল্লেখ আছে। এটি শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায়, যার ফলে ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে। আধুনিক জীবনযাপনে এই গুণগুলো বাড়তি সুবিধা এনে দেয়। কীভাবে গ্রহণ করবেন? অনেকেই সকালে ২–৩টি দানা চিবিয়ে খান। কেউ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নেন, কেউ আবার হারবাল চা তৈরি করেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়—দিনে সর্বোচ্চ ৩–৪টির বেশি না খাওয়াই ভালো। সতর্কতা গর্ভবতী নারী, উচ্চ রক্তচাপের রোগী বা যাদের পাকস্থলী দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। প্রাকৃতিক ওষধিগুণে ভরপুর কাবাব চিনি আজও অনেকের ঘরের নির্ভরযোগ্য ভেষজ। ছোট্ট দানার মধ্যে লুকিয়ে থাকা এই উপকারিতা একে সত্যিই করে তুলেছে অনন্য।
২৪ নভেম্বর ২০২৫
অপরাধ ও সংশোধন

অপরাধ ও সংশোধন

চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরের মৃত্যুদণ্ড

চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে দুই সহোদরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে তিন বছর আগে আসামি দুই ভাই পরিকল্পিতভাবে তাদের চাচাতো ভাইকে হত্যা করে। ঘটনার দিন ভুক্তভোগীকে ডেকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। স্থানীয়রা লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দিলে মামলা হয়।মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ দুই সহোদরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য–প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেন এবং দুই সহোদরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এটি ন্যায়বিচারের বিজয়। অপরদিকে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছে।
২৪ নভেম্বর ২০২৫
আইন-আদালত

আইন-আদালত

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এই রায়কে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে।রায় প্রকাশ–এর ফলে কী পরিবর্তন হলো?আইন অনুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকেই ৩০ দিনের আপিলের সময় গণনা শুরু হয়। এর অর্থ— ✔ আসামিরা এখন আপিল করতে পারবেন ✔ রাষ্ট্রপক্ষও প্রয়োজনে আপিল বা রিভিউয়ের সুযোগ পাবে ✔ আপিল বিভাগে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে না দণ্ডআইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মাধ্যমে মামলাটি এখন নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করলো।কোন কোন অভিযোগে দণ্ড?১৭ নভেম্বর দেওয়া সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছিল— দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড, একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড, একটি অভিযোগে আসাদুজ্জামান কামালকে মৃত্যুদণ্ড, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। পূর্ণাঙ্গ রায়ে প্রমাণিত হয়েছে— ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ, নির্যাতন, হত্যা এবং সংগঠিত তৎপরতার সঙ্গে আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসূত্র ছিল।ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণপূর্ণাঙ্গ রায়ে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করে— অপরাধগুলো ছিল সংগঠিত, পরিকল্পিত ও রাষ্ট্রবিরোধী। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তারা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে অপরাধকে উৎসাহিত করেছিলেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ, নথি ও আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগে আসামিদের দায় সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বাড়ছেরায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা ও ভিন্নমত দেখা দিয়েছে।সরকারপন্থীদের প্রতিক্রিয়াসরকারপক্ষ বলছে— “অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রায় দেওয়া হয়েছে—এটি আইনের শাসনের বিজয়।”বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়াবিরোধী দলের দাবি— “এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিন্নমত দমনের এক প্রক্রিয়া। তারা দ্রুত আপিল প্রক্রিয়ায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।”বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের রাজনীতি এখন আরও উত্তপ্ত হবে এবং আপিল শুনানি জাতীয় আলোচ্যসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।আইনি বিশ্লেষণ: কী হবে সামনে?আইনজীবীরা মনে করছেন— আপিল বিভাগে এই মামলা দীর্ঘ শুনানি হতে পারে আসামিপক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আইনজীবীদের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষও শক্তিশালী আইন টিম গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আদালত আপিল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করলে মামলার ভবিষ্যৎ দিক স্পষ্ট হবে।জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়াসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রায় প্রকাশের পরই তীব্র আলোচনা শুরু হয়। এক পক্ষ বলছে, “বিচার পেয়েছে শহীদ পরিবারগুলো।” অন্য পক্ষ বলছে, “রায় রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত।”সামাজিক বিশ্লেষকরা বলছেন— “এই রায়ের ফলে দেশের রাজনৈতিক বিভাজন আরও জটিল হবে, তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলা যাবে না।” মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে বহু আলোচিত এই মামলার আইনি যাত্রা নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল। এখন সবার দৃষ্টি— আপিল বিভাগ কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয়।
২৪ নভেম্বর ২০২৫
সারাদেশ

সারাদেশ

বাঙালি জাতির নেপাল বিজয়

বাঙালি জাতির নেপাল বিজয়

নেপালের তরাই অঞ্চল। পাহাড় ছায়া, দুর্গম পথ আর কঠোর আবহাওয়া মিলিয়ে এমন এক এলাকা, যেখানে তৎকালীন ভারতের বা বাংলার কোনো মুসলিম সেনাবাহিনী আগে কখনও প্রবেশ করতে পারেনি। সময়টা ১৩৫০ সালের ২৭ নভেম্বর। আরবী নকশার ঘোড়ার মুখবন্ধ পরা একদল অশ্বারোহী ধুমধাড়াক্কা শব্দে এগিয়ে যাচ্ছে কাঠমাণ্ডুর দিকে। তাদের সামনে রয়েছেন বাংলার সুলতান—শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ, এক দূরদর্শী সম্রাট, যিনি শুধু নতুন ভূখণ্ড জয় করতেই আসেননি; আসছেন বাঙালি জাতির পরিচয়কে নতুনভাবে নির্মাণ করতে। স্বয়ম্ভুনাথের শিলালিপিতে অম্লান সেই আক্রমণ ইতিহাসের পাতায় নেপাল অভিযান এক অলৌকিক ঘটনা। কাঠমাণ্ডুর নিকটবর্তী স্বয়ম্ভুনাথ মন্দিরে পাওয়া এক শিলালিপিতে উল্লেখ রয়েছে—৪৭০ নেওয়ারী সম্বৎ, অর্থাৎ ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দে ‘পূর্ব দেশীয় সুলতান’ নেপালে প্রবেশ করেন এবং রাজধানী পর্যন্ত অগ্রসর হন। নেপালের রাজবংশীয় ইতিহাসেও এই আক্রমণের উল্লেখ রয়েছে। সুলতান বিপুল ধনসম্পদ নিয়ে বাংলায় ফিরে আসেন। তা শুধু ধন-দৌলতই নয়—এ অভিযানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ক্ষমতা, কৌশল আর বাঙালি অস্তিত্বের নতুন পরিচয়। বিভক্ত জনপদ থেকে একীভূত ‘বাঙ্গালাহ’ ইলিয়াস শাহের কীর্তি কেবল নেপাল জয়ে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি প্রথম শাসক যিনি লক্ষ্মণাবতী, সাতগাঁও/সপ্তগ্রাম ও সোনারগাঁও—এই তিনটি বিভক্ত বাংলা অঞ্চলে এক পতাকার নিচে একত্রিত করেন। এর আগে বাংলা বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল—গৌড়, রাঢ়, সমতট, পুন্ড্রবর্ধন। ভাষা একই হলেও শাসন ছিল পৃথক। ইলিয়াস শাহ এসে প্রথম ঘোষণা করেন: “এ ভূখণ্ডই বাঙ্গালাহ, আর এখানকার মানুষ বাঙালি।” তারই হাত ধরে জন্ম নেয় রাজনৈতিকভাবে একীভূত প্রথম বাংলা রাষ্ট্র। সমগ্র অঞ্চলে ‘বাঙালি’ পরিচয়ের বীজ বপন হয়। পরবর্তী যুগে মুগলদের সুবাহ-ই-বাঙ্গালাহ, পর্তুগিজদের ‘বেঙ্গালা’, ইংরেজদের ‘বেঙ্গল’—সবই এই নামের ধারাবাহিকতা। ক্ষমতায় ওঠার রোমাঞ্চকর পথ ইলিয়াস শাহ ছিলেন পারস্যের সিজিস্তানের অধিবাসী। কিশোর বয়সে একটি অপরাধের দায়ে দিল্লি থেকে পালিয়ে এসে সাতগাঁওয়ে আশ্রয় নেন। অল্পদিনেই শাসক ইজ্জুদ্দীন ইয়াহইয়ার কাছ থেকে মালিক উপাধি পান। এরপর ১৩৩৮ সালে সাতগাঁওয়ের শাসক এবং ১৩৪২ সালে পুরো বাংলার সুলতান। সিংহাসনে বসেই রাজধানী গৌড় থেকে পান্ডুয়ায় স্থানান্তর করেন। দ্রুতই পান্ডুয়া হয়ে ওঠে বাংলার এক প্রধান নগরী। উড়িষ্যা থেকে বেনারস—সাম্রাজ্যের বিস্তার ইলিয়াস শাহ ছিলেন বাংলার প্রথম ‘দূরদর্শী সামরিক কৌশলী’। তার কর্মকাণ্ডে দেখা যায় পরিকল্পনা, গতি ও বিচক্ষণতা। তার প্রধান অভিযানগুলো— ১৩৪৪: ত্রিহুত দখল ১৩৫০: নেপাল অভিযান ১৩৫২: সোনারগাঁও জয়—সমগ্র বাংলা একীভূত ১৩৫৩: বিহার দখল এরপর বেনারস, গোরখপুর, চম্পারন পর্যন্ত অগ্রসর ১৩৫৭: কামরূপ জয় একদিকে উড়িষ্যা উপকূল, অন্যদিকে নেপালের পাদদেশ, আবার উত্তরে হিমালয় সংলগ্ন জনপদ—এসবই ইলিয়াস শাহের কর্তৃত্বাধীন অঞ্চলের অংশ হয়ে ওঠে। দিল্লির সঙ্গে সংঘাত: কূটনীতির অনন্য উদাহরণ বাংলার উত্থান দিল্লির তুঘলক শাসক ফিরোজ শাহ তুঘলককে বিচলিত করেছিল। তিনি বাংলায় সামরিক অভিযান চালালে ইলিয়াস শাহ সরাসরি মোকাবিলা না করে কৌশলগত অপেক্ষা করেন। নদী-নালা পরিবেষ্টিত বাংলার ভৌগোলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে সংঘর্ষ এড়িয়ে তিনি বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করেন। এ ছিল মধ্যযুগীয় কূটনীতির এক নিখুঁত উদাহরণ। সুশাসন ও জনশক্তির উত্থান ইলিয়াস শাহের প্রশাসনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য— তিনি শাসনব্যবস্থাকে স্থানীয় মানুষের হাতে তুলে দেন। বাংলার সাধারণ মানুষকে বৃহৎ পরিসরে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন করব্যবস্থা সহজ করেন পান্ডুয়া ও গৌড়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেন এই সময়ে বাংলায় শান্তি, বাণিজ্য ও কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটে। কেন ইলিয়াস শাহকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের জনক’ বলা হয়? জিয়াউদ্দীন বারানী প্রথম বাংলাকে উল্লেখ করেন ইকলিম-ই-বাঙ্গালাহ নামে। পরবর্তীতে শামস-ই-সিরাজ তাকে আখ্যা দেন— ‘সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ’ ‘শাহ-ই-বাঙালিয়ান’ তারই সময়ে বাংলা প্রথম একটি একীভূত সত্তায় রূপ নেয়, যার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে পরবর্তী ৬০০ বছরের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়—বাঙালিত্ব। ইলিয়াস শাহের হাতে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাধীন সালতানাত প্রায় দুই শতাব্দী টিকে ছিল—যা বাংলার রাষ্ট্রীয় ইতিহাসে এক বড় ভিত্তি। ৬৭৫ বছর পরও যে ইতিহাস অনুপ্রেরণা দেয় ১৩৫০ সালের সেই নেপাল অভিযান শুধু সামরিক সাফল্য ছিল না—এ ছিল বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় খুঁজে পাওয়ার এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। জাতিগত, ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে বাঙালিত্বের যে ভিত্তি আমরা আজ দেখি, তার বীজ রোপণ করেছিলেন সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ। তার বিজয়ের ৬৭৫তম বর্ষে আমরা শুধু ইতিহাস স্মরণ করি না— সেই সাহস, দূরদর্শিতা ও জাতি গঠনের ঐতিহ্যকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।