সকালে খালি পেটে পানিতে ভেজানো কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস বাংলাদেশে বেশ পরিচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞান ও পুষ্টিবিদদের মতে, ভেজানো কিসমিস শরীরের শক্তি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে লিভার ও হজমশক্তি পর্যন্ত নানাভাবে উপকার করে থাকে।
কিসমিসে রয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্যআঁশ, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিস আরও নরম হয় এবং শরীরে সহজে শোষিত হয়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ভেজানো কিসমিস লিভার পরিষ্কারে উপকারী বলে মনে করেন অনেক পুষ্টিবিদ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, পটাশিয়াম ও প্রাকৃতিক চিনি থাকে। খালি পেটে ভেজানো কিসমিস খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করায় রক্তস্বল্পতা দূর করতেও এটি উপকারী।
ভেজানো কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও খনিজ উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। নিয়মিত গ্রহণে ত্বক ইতস্ততভাব কমে যায়। পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করতেও সহায়ক।
কিসমিসে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা–জ্বরের মৌসুমে এটি শরীরকে দ্রুত শক্তিশালী রাখতে সহায়ক।
কীভাবে খাবেন

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন