বিয়ে শুধু এক ছাদের নিচে থাকা নয়—এটি দুটি মানুষের অনুভূতি, দায়িত্ব, সম্মান এবং একসাথে বেড়ে ওঠার যাত্রা। সম্পর্ক যত্ন করলে যেমন সুন্দর থাকে, তেমনি অবহেলা করলে তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়। তাই বিয়ের সম্পর্ককে শক্ত, মধুর ও দীর্ঘস্থায়ী করতে কিছু ছোট–ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসই অনেক ভূমিকা রাখে।
নিচে বিয়ের সম্পর্ক সুন্দর রাখার সেরা ১০টি টিপস দেওয়া হলো—
ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন অন্তত ১০–১৫ মিনিট দু’জনের নিজের কথা, কাজ, অনুভূতি নিয়ে কথা বলুন।
এতে আবেগের সংযোগ তৈরি হয়।
মনে মনে ভালোবাসা থাকলেই হবে না।
একটি “ধন্যবাদ”, “তোমাকে ভালোবাসি” বা ছোট সারপ্রাইজ সম্পর্ককে উষ্ণ রাখে।
বিতর্ক হতেই পারে, কিন্তু অপমান, রাগ, গালমন্দ সম্পর্ক নষ্ট করে।
সমস্যাকে “আমরা বনাম সমস্যা” ভাবুন, “আমি বনাম তুমি” নয়।
বিয়েতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় সম্মান।
সঙ্গীর মতামত, পছন্দ, পরিবার—সবকিছুকেই শ্রদ্ধা দিন।
সপ্তাহে একদিন হলেও হাঁটা, চা-কফি, সিনেমা বা ছোট কোনো ঘোরাঘুরি পরিকল্পনা করুন।
একসাথে কাটানো সময় সম্পর্ককে নতুন শক্তি দেয়।
তিনি খাবার বানালে, কোনো কাজ করলে, কিংবা শুধু হাসিখুশি থাকলে প্রশংসা করুন।
প্রশংসা সম্পর্ককে সুন্দর করে, মন খুলে দেয়।
স্বামী–স্ত্রী হলেও প্রত্যেকের নিজস্ব জায়গা ও সময় দরকার।
অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ বা সন্দেহ দূরত্ব তৈরি করে।
“আমি ভুল করেছি” বলতে পারা সম্পর্ককে অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচায়।
ক্ষমা চাওয়া দুর্বলতার নয়, পরিপক্বতার লক্ষণ।
আর্থিক, ঘরের কাজ, শিশু—যা কিছু হোক, দায়িত্ব একা একজনের নয়।
দু’জন মিলে করলে সম্পর্ক শক্ত হয়।
বিশ্বাস, আল্লাহর ওপর নির্ভরতা (তাওয়াক্কুল) এবং একসাথে দোয়া করাও সম্পর্ককে শান্তি দেয়।
যাদের জীবনে আধ্যাত্মিকতা থাকে, তাদের সম্পর্ক বেশি স্থায়ী হয়।

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৯ নভেম্বর ২০২৫

আপনার মতামত লিখুন