ঢাকা    বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গণবার্তা

৪ ধরনের জমির মালিকদের জন্য খাজনা স্থায়ীভাবে বাতিল

৪ ধরনের জমির মালিকদের জন্য খাজনা স্থায়ীভাবে বাতিল

দেশের চার শ্রেণির জমির ওপর থেকে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে সরকার। ফলে এসব জমির মালিকদের আর কোনো কর দিতে হবে না। ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, দীর্ঘদিনের আর্থিক চাপ থেকে জমির মালিকরা মুক্তি পাবেন, পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থাপনাতেও আসবে স্বচ্ছতা।

কারা এই সুবিধা পাবেন?

ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিম্নোক্ত চার ধরনের জমিতে আর খাজনা ধার্য হবে না—

1️⃣ সরকারি বা জাতীয় খালাস জমি
এসব খতিয়ানভুক্ত জমির ওপর কর সম্পূর্ণরূপে বাতিল।

2️⃣ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি
মসজিদ, মন্দির, মঠসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ের জমি খাজনা থেকে অব্যাহতি পাবে। তবে শর্ত হলো—জমি কোনোভাবেই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

3️⃣ পুনর্বাসন বা আবাসন প্রকল্পের জমি
সরকারি পুনর্বাসন ও আবাসন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ পাওয়া জমির খাজনা স্থায়ীভাবে মওকুফ।

4️⃣ অধিগ্রহণকৃত জমি
যে জমি সরকারি প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার ক্ষেত্রেও খাজনা আর দিতে হবে না।

অসচ্ছল ও প্রান্তিক মালিকদের জন্য বাড়তি সুবিধা

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অসচ্ছল জমিমালিক বা প্রান্তিক কৃষক চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাজনা মওকুফের আবেদন করতে পারবেন জেলা প্রশাসকের কাছে। যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্যদের আবেদন অনুমোদন করা হবে।

খাজনা না দিলে জমি খাস হওয়ার ঝুঁকি নেই

সাধারণ নিয়মে কেউ তিন বছর খাজনা না দিলে জমি খাস খতিয়ানে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকে। তবে অব্যাহতি পাওয়া চার ধরনের জমির ক্ষেত্রে আর এমন ঝুঁকি থাকবে না, জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আপনার মতামত লিখুন

গণবার্তা

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫


৪ ধরনের জমির মালিকদের জন্য খাজনা স্থায়ীভাবে বাতিল

প্রকাশের তারিখ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image
দেশের চার শ্রেণির জমির ওপর থেকে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে সরকার। ফলে এসব জমির মালিকদের আর কোনো কর দিতে হবে না। ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, দীর্ঘদিনের আর্থিক চাপ থেকে জমির মালিকরা মুক্তি পাবেন, পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থাপনাতেও আসবে স্বচ্ছতা।কারা এই সুবিধা পাবেন?ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিম্নোক্ত চার ধরনের জমিতে আর খাজনা ধার্য হবে না—1️⃣ সরকারি বা জাতীয় খালাস জমি এসব খতিয়ানভুক্ত জমির ওপর কর সম্পূর্ণরূপে বাতিল।2️⃣ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি মসজিদ, মন্দির, মঠসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ের জমি খাজনা থেকে অব্যাহতি পাবে। তবে শর্ত হলো—জমি কোনোভাবেই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।3️⃣ পুনর্বাসন বা আবাসন প্রকল্পের জমি সরকারি পুনর্বাসন ও আবাসন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ পাওয়া জমির খাজনা স্থায়ীভাবে মওকুফ।4️⃣ অধিগ্রহণকৃত জমি যে জমি সরকারি প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার ক্ষেত্রেও খাজনা আর দিতে হবে না।অসচ্ছল ও প্রান্তিক মালিকদের জন্য বাড়তি সুবিধামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অসচ্ছল জমিমালিক বা প্রান্তিক কৃষক চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাজনা মওকুফের আবেদন করতে পারবেন জেলা প্রশাসকের কাছে। যাচাই-বাছাই শেষে যোগ্যদের আবেদন অনুমোদন করা হবে।খাজনা না দিলে জমি খাস হওয়ার ঝুঁকি নেই সাধারণ নিয়মে কেউ তিন বছর খাজনা না দিলে জমি খাস খতিয়ানে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকে। তবে অব্যাহতি পাওয়া চার ধরনের জমির ক্ষেত্রে আর এমন ঝুঁকি থাকবে না, জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

গণবার্তা

সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ 
প্রকাশকঃ ফিরোজ আল-মামুন 

কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গণবার্তা