ঢাকা    বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
গণবার্তা

১৯৯ কোটি টাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদকে আধুনিক–আভিজাত্যের ছাপ দেওয়া হবে

১৯৯ কোটি টাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদকে আধুনিক–আভিজাত্যের ছাপ দেওয়া হবে

ঢাকা: দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম–এর সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নের জন্য ১৯৯ কোটি টাকার একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। 

প্রকল্পে কী ধরনের কাজ হবে - 

  • মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখেই অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা। 
  • বহিরাঙ্গনের উন্নয়ন — পার্শ্বভূমি ও চত্বরের সাজ-সজ্জা। 
  • অফিস ভবন এবং নতুন মিনার নির্মাণসহ শিক্ষাসামর্থ্য ও সামাজিক/আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডের জন্য সুযোগ–সুবিধা। 

 ইতোমধ্যে যা হয়েছে

  • ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়েই কিছু কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে —
  • নতুন সাব-স্টেশন এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর বসানো (প্রায় ১১ কোটি টাকায়) — মসজিদে বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে। 
  • আগুন নিবারণ ব্যবস্থা আপগ্রেড, ৮০টি স্পর্শকাতর স্থানে ফায়ার হাইড্র্যান্ট স্থাপন।
  • পানির সংকটের সমাধানে সাবমারসিবল পাম্প ইনস্টলার। 

ড. খালিদ হোসেন বলেন, “মসজিদের চেহারা বদল হবে—কিন্তু মূল কাঠামো অক্ষুন্ন থাকবে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।” 

তিনি আরও অনুরোধ করেন, মসজিদ ব্যবহারকারীগণ, দর্শনার্থীগণ ও সর্বসাধারণ যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সচেষ্ট হন; আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকেন; নির্ধারিত ডাস্টবিন ও টয়লেট-অজুখানা নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করেন। 

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর বায়তুল মোকাররম শুধু নামাজের জন্য নয় — বাংলাদেশি ও বৈশ্বিক মুসলিম জনতার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের মুসলিম আরাধনাকেন্দ্র ও আর্কিটেকচারাল নিদর্শন হিসেবে গড়ে উঠবে।

আপনার মতামত লিখুন

গণবার্তা

বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫


১৯৯ কোটি টাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদকে আধুনিক–আভিজাত্যের ছাপ দেওয়া হবে

প্রকাশের তারিখ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

featured Image
ঢাকা: দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম–এর সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিকায়নের জন্য ১৯৯ কোটি টাকার একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। প্রকল্পে কী ধরনের কাজ হবে - মসজিদের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ন রেখেই অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যবর্ধন ও আধুনিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বহিরাঙ্গনের উন্নয়ন — পার্শ্বভূমি ও চত্বরের সাজ-সজ্জা। অফিস ভবন এবং নতুন মিনার নির্মাণসহ শিক্ষাসামর্থ্য ও সামাজিক/আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডের জন্য সুযোগ–সুবিধা।  ইতোমধ্যে যা হয়েছেব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়েই কিছু কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে —নতুন সাব-স্টেশন এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর বসানো (প্রায় ১১ কোটি টাকায়) — মসজিদে বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে। আগুন নিবারণ ব্যবস্থা আপগ্রেড, ৮০টি স্পর্শকাতর স্থানে ফায়ার হাইড্র্যান্ট স্থাপন।পানির সংকটের সমাধানে সাবমারসিবল পাম্প ইনস্টলার। ড. খালিদ হোসেন বলেন, “মসজিদের চেহারা বদল হবে—কিন্তু মূল কাঠামো অক্ষুন্ন থাকবে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।” তিনি আরও অনুরোধ করেন, মসজিদ ব্যবহারকারীগণ, দর্শনার্থীগণ ও সর্বসাধারণ যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সচেষ্ট হন; আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকেন; নির্ধারিত ডাস্টবিন ও টয়লেট-অজুখানা নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পর বায়তুল মোকাররম শুধু নামাজের জন্য নয় — বাংলাদেশি ও বৈশ্বিক মুসলিম জনতার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের মুসলিম আরাধনাকেন্দ্র ও আর্কিটেকচারাল নিদর্শন হিসেবে গড়ে উঠবে।

গণবার্তা

সম্পাদকঃ নূর মোহাম্মদ 
প্রকাশকঃ ফিরোজ আল-মামুন 

কপিরাইট © ২০২৫ সর্বস্ব সংরক্ষিত গণবার্তা